ব্যভিচার আইনের ৪৯৭ ধারা সংশোধনের দাবি

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা, বার্তা২৪.কম | 2023-08-27 22:17:36

দেড়শ বছরের পুরনো ব্যভিচার আইন দণ্ডবিধি ৪৯৭ ধারা সংশোধনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মেনস রাইটস ফাউন্ডেশন (বিএমঅরএফ)। পাশাপাশি ডাঃ মোস্তফা মোরশেদ আকাশকে আত্মহত্যার প্ররোচনার দায়ে মিতু ও মিতুর পরিবারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

সোমবার ( ৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান তারা।

সংগঠনের বক্তারা বলেন, 'বাংলাদেশের ব্যভিচারের ৪৯৭ ধারায় নারীর শাস্তির ব্যবস্থা না রাখার কারণে নারীকে পরকীয়ায় বৈধতা দেয়া হয়েছে। যার ফলে প্রতিনিয়ত পরকীয়া জনিত কারণে হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছে স্বামী ও সন্তানেরা। তাই সাম্প্রতিক সময়ে স্ত্রীর দ্বারা পারিবারিক কলহে স্বামী ও শিশু হত্যার সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে।'

বক্তারা আরও বলেন, '২০০০ সালের পারিবারিক সহিংসতা আইনে পুরুষের নাম না রাখায় পারিবারিক সহিংসতায় হত্যাকাণ্ডের শিকার পুরুষেরা যথাযথ বিচার পাচ্ছে না। তাই এই আইনটিও পুরুষের জন্য বৈষম্যপূর্ণ। তাই আমরা এই আইনেরও সংশোধন চাই।'

বাংলাদেশ মেনস রাইটস ফাউন্ডেশনের প্রচার বিষয়ক সম্পাদক ড. আব্দুর রাজ্জাক খান বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'এই ব্যভিচার আইন অনেক পুরাতন, সময়ের প্রয়োজনে অনেক আইনই পরিবর্তন হয়েছে। তাই আমি ও আমার সংগঠন মনে করে এই উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাওয়া পরকীয়াজনিত হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ। ব্যভিচার আইনের ৪৯৭ ধারা থেকে নারীকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। তাই আমরা ৪৯৭ ধারার সংশোধন ও নারীর জন্য সমান শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।'

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম নাদিম, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আলামিন হোসাইন সহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।

উল্লেখ্য দণ্ডবিধির ৪৯৭ ধারায় বলা আছে, 'কোন ব্যক্তি যদি পরস্ত্রীর সাথে স্বেচ্ছায় যৌন সম্পর্ক করে তাহলে সেটা ধর্ষণ নয়। ব্যভিচার হিসেবে গণ্য হবে। সেক্ষেত্রে শাস্তি হবে শুধু পুরুষের।'

এ সম্পর্কিত আরও খবর