খুলনা মহানগরীর ২২ খাল উদ্ধারে তৎপরতা শুরু

খুলনা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-25 08:17:39

খুলনা মহানগরীর ২২ খাল উদ্ধারে তৎপরতা শুরু হয়েছে। মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে ময়ূর নদী পুনঃখনন, ২২টি খালের দখল উচ্ছেদ, ভরাট হয়ে যাওয়া ড্রেন সংস্কার, সরকারি-বেসরকারি পুকুর-জলাশয় সংরক্ষণ করে পরিচ্ছন্ন নগরী গড়তে পরিকল্পিতভাবে কার্যক্রম শুরু করেছে খুলনা সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসন।

এ লক্ষ্য‌ে সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উচ্চ পদস্থ সরকারি কর্মকর্তা ও সাংবাদিকদের সাথে নিয়ে খুলনা সিটি করপোরেশন মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক মহানগরীর অভ্যন্তরীণ ও পার্শ্ববর্তী খালসমূহের বর্তমান অবস্থা সরেজমিন পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শনকালে উপস্থিত কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে সিটি মেয়র বলেন, 'মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের সকল নদী ও খাল অবৈধ দখলমুক্ত করে পুনরুদ্ধার করার দিক নির্দেশনা প্রদান করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকে খুলনা মহানগরীর অভ্যন্তরীণ খালসমূহও দখলমুক্ত করা হবে। খুলনা মহানগরীতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টির মূল কারণ খাল দখল ও খালের ওপর অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ। এর ফলে পানি দূষণসহ খালের স্বাভাবিক পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তিনি যৌথ জরিপ কার্যক্রম সম্পন্ন করে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করা হবে।'

এছাড়া পার্শ্ববর্তী উপজেলার সাথে সংযুক্ত খালসমূহ অবৈধ দখলমুক্ত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

পরিদর্শনকালে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, কেএমপি’র উপ-কমিশনার এহসান শাহ, জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার খোন্দকার আজিম আহমেদ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: নাজমুল হক, কেসিসি’র কাউন্সিলর মো: আনিছুর রহমান বিশ্বাস, শেখ মোসারাফ হোসেন, প্রেস ক্লাবের সভাপতি এস এম হাবিব, কেসিসি’র প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো: আব্দুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মো: নাজমুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী লিয়াকত আলী খান, মশিউজ্জামান খান, এস্টেট অফিসার নুরুজ্জামান তালুকদার সহ সেটেলমেন্ট ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।

উল্লেখ্য, ময়ূর নদের দুপাড় থেকেই সরকারি-বেসরকারিভাবে দখলযজ্ঞ চলছে। এ নদটিকে বাঁচাতে হলে খুলনার ২২টি খালের ওপর থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করতে হবে। ২২টি খালের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, নিরালা, মান্দার, ক্ষেত্রখালী, মতিয়াখালী, লবণচরা, তালতলা, মিস্ত্রীপাড়া, নবীনগর, ছড়িছড়া, লবণচরা গোড়া, লবণচরা স্লুইস গেট, সবুজ বাগ, মিয়াপাড়া পাইপের মোড়, বাস টার্মিনালের পশ্চিম পাশ, রায়ের মহল পশ্চিমপাড়া, বাস্তুহারা, গল্লামারী নর্থ, দেয়ানা দক্ষিণপাড়া, বাটকেমারী, সাহেব খালী, হাজী তমিজ উদ্দিন, নারকেলবাড়িয়া, সুড়িমারি, ডুবি, বেতবুনিয়া, দেয়ানা, তেঁতুলতলা দশগেট, হাতিয়া, মাথাভাঙ্গা, মাস্টারপাড়া, হরিণটানা, খুদে, মজুমদার, কাদের, চকমথুরাবাদ, কাস্টমঘাট, নবপল্লী, ছোট বয়রা শ্মশানঘাট, রায়ের মহল মোল্লাপাড়া ও বিল পাবলা খাল। এসব খালের অধিকাংশই প্রভাব খাটিয়ে দখল করে স্থায়ীভাবে স্থাপনা নির্মাণ করেছেন প্রভাবশালীরা।

এ সম্পর্কিত আরও খবর