ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া | 2024-09-08 17:54:49

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের ভাদুঘর দারুচ্ছুন্নাহ (ডিএস) কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে অপসারণের দাবিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মাদ্রাসা থেকে একটি মিছিল করে শিক্ষার্থীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এসে বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভ শেষে জেলা প্রশাসকের বরাবর অধ্যক্ষ একরাম হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করে তাকে অপসারণের দাবি করা হয়।

এসময় মাদ্রাসার শিক্ষার্থী খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল একরাম হোসেন প্রভাব খাটিয়ে শিক্ষার্থীদের অর্থ আত্মসাৎ করে আসছিলেন। তিনি পরীক্ষার টাকা ২/৩ গুন নিয়ে নিজে আত্মসাৎ করেছেন। তিনি দীর্ঘ ১৪ বছর যাবত কোন উপাধ্যক্ষ নিয়োগ দেননি ইচ্ছেকৃতভাবে। এই প্রিন্সিপাল সরকারি ভাবে পাওয়া ল্যাপটপ একজন ব্যবসায়ীর কাছে ভাড়া দিয়ে নিজে টাকা ভোগ করছেন। উনার দাম্ভিকতার জন্যে কেউ প্রতিবাদ করতে পারেনি। কিন্তু গত ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর প্রিন্সিপাল একরাম হোসেন পালিয়ে গিয়েছেন। তাকে দীর্ঘ একমাস যাবত তাকে পাওয়া যাচ্ছে না, তিনি কোথায় কেউ জানেও না।

মোহাম্মদ ইয়ামিন খান নামের আরেক ছাত্র অভিযোগ করে বলেন, আমাদের থেকে প্রশংসাপত্র, সনদ ও প্রবেশপত্র বাবদ নিয়ম বহির্ভূত টাকা উত্তোলন করেন অধ্যক্ষ একরাম হোসেন। বোর্ড নির্ধারিত কেন্দ্র ফির অতিরিক্ত টাকা উত্তোলন করেন তিনি। তিনি সুলভ মূল্যে শিক্ষা সামগ্রী ক্রয়ের একমাত্র মাধ্যম "সততা স্টোর" বন্ধ করে দেন। রোবার স্কাউট ফি নিলেও টিম গঠন করেননি। এমনকি ভর্তির সময় মিলাদ বাবদ টাকা নিলেও মিলাদ অনুষ্ঠানের জন্য পূণরায় চাঁদা দিতে বাধ্য করেছেন শিক্ষার্থীদের।

শান্তা আক্তার নামের ফাজিল প্রথম বর্ষের পরীক্ষার্থী বলেন, এই কামিল মাদ্রসায় গত ৬ বছর যাবত পড়াশোনা করছি। এই অধ্যক্ষ একরাম হোসেন তার সামনে আমিসহ সব মেয়েদের হিজাব খুলে পড়াশোনা করতে চাপ প্রয়োগ করতেন। অথচ আমি খ্রিস্টান একটি স্কুলে পড়াশোনা করে এসেছি, সেখানে পর্দার ব্যাপারে কোন বাধা ছিল। এই অধ্যক্ষের অপসারণ চাই।

মাদ্রাসার সাবেক শিক্ষার্থী মাওলানা ইসহাক আল মামুন বলেন, আমরা জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। তিনি মিটিংয়ে ব্যস্ত থাকায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) আমাদের অভিযোগ গ্রহণ করেছেন। তিনি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ওই অধ্যক্ষকে অপসারণের আস্বস্ত করেছেন।

এই বিষয়ের জানতে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ একরাম হোসেনের মুঠোফোনে কল দেওয়া হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর