রংপুরে সংঘবদ্ধ চক্রের জমি দখলের অপচেষ্টা

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর | 2024-09-08 19:38:10

রংপুর নগরীর বুড়িরহাট বাজার ঘেঁষে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্যে এক ভুক্তভোগীর দোকানপাটসহ বাড়িঘর জবর দখল করার অপচেষ্টা চালিয়েছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র।

রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সরেজমিনে ঘুরে ভুক্তভোগী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সন্ধ্যায় এই তাণ্ডব চালানো হয়। এই ঘটনায় সরোয়ারুল আলম বাদী হয়ে ৩ জনকে অভিযুক্ত করে রংপুর মেট্রোপলিটন পরশুরাম থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

ভুক্তভোগী ও স্থানীয়রা বলেন, কোবারু এলাকার মৃত আহম্মদ হোসেনের ছেলে সরোয়ারুল আলম এর সাথে ডাক্তার পাড়ার বাসিন্দা মৃত আব্দুল মজিদ জমিদার এর ২ ছেলে গোরাম আজাদ মানিক ও আজম মিয়ার সাথে জমি জমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে।

তারই ধারাবাহিকতায় শনিবার সন্ধ্যায় মানিক ও আজম মিয়াসহ হাসান আলীর নেতৃত্বে প্রায় ৩০থেকে ৩৫ জন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অতর্কিত ভাবে হামলা চালানোর জন্য প্রস্তুতি নিয়ে আসে। এসময় দোকান ঘরের ভাড়াটিয়াসহ স্থানীয় লোকজনদের তোপের মুখে পড়ে ঝগড়া বিবাদ সৃষ্টি হয়। এবিষয়কে কেন্দ্র সরোয়ারুল আলম ৯৯৯ ফোন করলে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে আসলেই পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা সটকে পড়েন।

ভুক্তভোগী সরোয়ারুল আলম ও তার মৃত ভাইয়ের স্ত্রী বিধবা ছবেদা বেগম বলেন, আমিসহ আমার মৃত ভাই ফারুক হোসেন, ভাগিনা রবিউল আলম পলাশসহ পৈত্রিক সূত্রে দলিল মূলে প্রাপ্ত হয়ে প্রায় ৫০ বছর পূর্ব হতে বসতবাড়ী ও দোকানপাট নির্মান করে বসবাস করে আসছি। আমার ভাই মারা যাওয়ার পর ভাইয়ের অংশ তার স্ত্রী ছবেদা বেগম ভোগদখল করে আসছে।

ওই জমিতে বসতবাড়ী দোকানপাট দীর্ঘদিন যাবত বিবাদীগন জবর দখল করার চেষ্টা করে আসছে। তিনি আরো বলেন আমাদের প্রতিপক্ষ ইতিপূর্বে যে কয়টি মামলা তারা করেছিল নিম্ন আদালত থেকে হাই কোর্ট পর্যন্ত সব কয়টি মামলার রায় আমাদের পক্ষে এসেছে। এর পরেও তাঁরা অতর্কিত ভাবে বিভিন্ন সময়ে দলবল নিয়ে দখল করতে আসে। আমার ভাইয়ের স্ত্রী একজন বিধবা মানুষ তার দুইটি মেয়ে নিয়ে অসহায় জীবনযাপন করেন।

এবিষয়ে প্রত্যেক্ষ সাক্ষী জাকারিয়ার ছেলে রুবেল,মৃত মতিয়ার রহমানের ছেলে মোর্শেদ আলমসহ রাজু মিয়া প্রতিবেদককে বলেন আজম ও মানিক মিয়া প্রায় সময় অতর্কিত ভাবে জমি দখলের চেষ্টা করে। তাদের যৎ সামান্য আইনের প্রতি শ্রদ্ধা নেই বলেই তারা এমন করেন।

এবিষয়ে জানতে আজম ও মানিক মিয়ার সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাদের পাওয়া যায়নি।

তবে ভুক্তভোগীর অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে পরশুরাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সালেহ্ আহমেদ পাঠান বলেন, আমরা খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ফোর্স পাঠাই এবং উভয় পক্ষের লোকজনের সাথে কথা হয়। তবে ওখানে ফৌজদারি কোন অপরাধ সংঘটিত হয় নাই। আমরা স্থানীয়দের বিষয়টি অবগত করি এবং তারা কথা দেন আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে বসে সমঝোতা করার জন্য চেষ্টা করবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর