বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের (বিসিসি) দৈনিক মজুরির অস্থায়ী ও চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের মধ্যে ছাঁটাই আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। গত বুধবার থেকে কিছু সংখ্যক কর্মচারীদের হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে দেয়নি বিসিসি কর্তৃপক্ষ। এতে গুঞ্জন উঠেছে, ১০২ জন অস্থায়ী কর্মচারীকে ছাঁটাই করা হচ্ছে।
তবে বিসিসি কর্তৃপক্ষ বলছে, যাদের নিয়োগ বিধিমতো হয়নি, শুধুমাত্র তাদের নিয়োগ বাতিল করা হবে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে না পারা কর্মচারীদের অধিকাংশরাই সদ্য সাবেক মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাতের মেয়াদে নিয়োগ পেয়েছেন।
দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারী আল আমিন বলেন, ‘আমরা ১৬ জন স্টাফ মেয়রের দফতরে স্বাক্ষর করতাম। তবে বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে কর্মস্থলে গেলে স্বাক্ষরের জন্য হাজিরা খাতা খুঁজে পাইনি। পরে চলে এসেছি।’
আরেক কর্মচারী বাদল বলেন, ‘আমাদের স্বাক্ষর করতে দেয়া হয়নি, সকলকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। ’
নাঈম উদ্দিন বলেন, ‘বুধবার সকালে এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন আমাদের আর কর্মস্থলে যেতে হবে না। হাজিরা খাতায় আমাকেও স্বাক্ষর করতে দেয়া হয়নি। চাকরি হারালে আমার মতো আরও অনেক কর্মচারীকে তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে পথে বসতে হবে।’
অস্থায়ী ও চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীরা ছাঁটাই হচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে বিসিসির প্রশাসনিক কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন কোনো কথা বলতে রাজি হননি। তবে তিনি জনসংযোগ কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।
বিসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা আহসান উদ্দিন রোমেলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই।’
বিসিসির দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসক বিভাগীয় কমিশনার মো. শওকত আলী বলেন, ‘নগর ভবনে চুক্তিভিত্তিক ৪২ জন কর্মচারী রয়েছেন। তবে তাদের চুক্তির সুনির্দিষ্ট মেয়াদ উল্লেখ করা হয়নি। ফলে এ নিয়োগ বিধিমতো হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আনুমানিক ১৫ জনের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিলের প্রক্রিয়া চলছে। তবে অস্থায়ী কর্মচারী ছাঁটাইয়ের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’