কর ফাঁকি নিয়ে বিভ্রান্তিকর সংবাদের প্রতিবাদ এস আলম গ্রুপের

, জাতীয়

নিউজ ডেস্ক | 2024-09-19 22:23:18

একটি জাতীয় ইংরেজি দৈনিকে আশরাফুল আলম ও আসাদুল আলমের বিরুদ্ধে প্রকাশিত ‘অসত্য ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রতিবেদনের’ প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে দেশের বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপ।

ওই দৈনিকে গত ১৮ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত প্রতিবেদনে আশরাফুল আলম এবং আসাদুল আলম মাহির ভূয়া ‘পে অর্ডারের' মাধ্যমে অনিয়মের আশ্রয় নেন বলে দাবি করা হয়।

এস আলম গ্রুপের মনোনীত প্রতিনিধি মনোতোষ চন্দ্র রায় বলেন, প্রতিবেদনটি অসত্য এবং অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে।

এস আলম গ্রুপ মনে করে, প্রতিবেদক পুরো প্রক্রিয়াকে ভুল বুঝে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছেন।

ওই প্রতিবেদনে প্রতিবেদক উল্লেখ করেছেন, কালোটাকা সাদা করার জন্য আয়কর অধ্যাদেশের বিধান অনুসরণ করে ট্যাক্স ফাইল জমা দেওয়া হয়েছিল। এমনকি অর্থ সাদা করার বিষয়টির প্রেক্ষাপট যাচাই করতে প্রতিবেদক কর কমিশনারের সাথে যোগাযোগ করেন। প্রতিবেদন অনুসারে উভয় ফাইলেই, অর্থ সাদা করার জন্য আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 19AAAA  এর অধীনে প্রদত্ত ৩০.০৬.২০২১ তারিখের আগে পে-অর্ডার ইস্যু করে রিটার্ন জমা দেওয়া হয়েছিল।

প্রতিবেদক আরও উল্লেখ করেছেন, ‘নথিপত্র অনুসারে, আশরাফুল এবং আসাদুল ২০২০-২১ অর্থবছরে ২৫ কোটি টাকার দুটি পে অর্ডারের মাধ্যমে প্রথমবার এই কালো টাকা সাদা করতে ব্যর্থ হন। তবে কয়েকমাস পরে দ্বিতীয়বার চেষ্টা করে তারা সফল হন। এতে বোঝা যায় প্রথম দুটি পে অর্ডার ভূয়া ছিল।’

এস আলম গ্রুপের দাবি, প্রতিবেদক বানোয়াট তথ্য প্রকাশ করেছে।

এস আলম বিবৃতিতে জানায়, যেহেতু রিটার্নের সাথে পে-অর্ডার জমা দেওয়া হয়েছিল। এবং তা আদায়ের জন্য কর অফিস ব্যাংকে পেশ করেছিল। সংগ্রহের জন্য ব্যাংকে দেওয়া হলে ট্যাক্স অফিসের পে-অর্ডারগুলোর সাথে অসাবধানতাবশত নম্বরগুলো স্ট্যাম্প করা হয়েছিল। পে-অর্ডার নগদ না হওয়ায়, ট্যাক্স অফিস নতুন পে-অর্ডারের অনুরোধ জানিয়ে একটি চিঠি পাঠায়। তাদের চিঠির প্রেক্ষিতে, ত্রুটিপূর্ণ পে অর্ডার আদেশ বাতিল করা হয় এবং নতুন পে অর্ডার জারি করা হয়। যা পরবর্তীতে সঠিকভাবে দেওয়া হয়।

কর ফাঁকি নিয়ে বিভ্রান্তিকর সংবাদের প্রতিবাদ

যেহেতু উল্লিখিত পে-অর্ডারগুলো দেরিতে সংগ্রহ করা হয়েছিল, তাই বিষয়টি নতুন যুগ্ম কমিশনার অব ট্যাক্সেসের নজরে আসে বিষয়টি। যুগ্ম কমিশনার আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা ১২০ এর অধীনে একটি নোটিশ জারি করেন এবং পে অর্ডারের সত্যতা যাচাই করার জন্য কর পরিদর্শককে ব্যাংকে পাঠান। ট্যাক্স ইন্সপেক্টর ব্যক্তিগতভাবে ব্যাংক পরিদর্শন করেন এবং জমাকৃত পে অর্ডারের সত্যতা যাচাই করেন এবং জারিকৃত পে অর্ডার সঠিক বলে তারা তার প্রমাণ পান। এর ফলে যুগ্ম কর কমিশনার ১৪৪ ধারার কার্যক্রম স্থগিত করেন।

উপরোক্ত বিবৃতি অনুসারে, এটা প্রমাণিত হয় যে, আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪-এ যোগ করা ধারা 19AAAA এর অধীনে প্রদত্ত সমস্ত বিধান এবং সুবিধাগুলি মেনে ২০২০-২১ আর্থিক বছরে যথাযথভাবে কর প্রদান করা হয়েছে। যেহেতু 19AAAA ধারার বিধান সম্পূর্ণরূপে মেনে চলা হয়েছে, কর ফাঁকির প্রশ্নই ওঠেনি।

গ্রুপ তাদের বিবৃতিতে আরও জানায়, প্রতিবেদক পুরো প্রক্রিয়ার নিয়ে ভুল বুঝেছেন। তার ভুল তথ্য নিয়ে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে। তাই প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানায় এস আলম গ্রুপ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর