তিন পার্বত্য জেলায় চলছে ৭২ ঘণ্টার সড়ক ও নৌপথ অবরোধ

, জাতীয়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2024-09-21 12:11:22

খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও হত্যার প্রতিবাদে তিন পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবানে চলছে ৭২ ঘণ্টা সড়ক ও নৌপথ অবরোধ।

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে এ অবরোধ শুরু হয়। শহরের ভেতর কিছু হালকা যান চলাচল করলেও সড়ক অবরোধের কারণে খাগড়াছড়ি থেকে দূরপাল্লার কোন যানবাহন ছাড়েনি।

শুক্রবার ঢাকার একটি সমাবেশ থেকে সড়ক ও নৌ পথ অবরোধের ডাক দেয় ‘জুম্ম ছাত্র জনতা’।  কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানিয়ে অবরোধ পালনের ঘোষণা দিয়েছে আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস্ ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)।

এদিকে জেলা প্রশাসনের শুক্রবার দুপুর ১টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত জেলা শহরে ১৪৪ ধারা জারির পর পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। শহরে মোতায়েন করা রয়েছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ। রাস্তাঘাটে লোকজন বের হচ্ছেন না। এখনো মানুষের মাঝে আতঙ্ক কাটেনি।

তবে, বর্তমানে জেলার সার্বিক আইনশৃংখলা পরিস্থিতি অনেকটাই শান্ত রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে শনিবার সকাল সোয়া ১১টায় জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর নেতৃত্বে স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন সমবায় উপদেষ্টা এএফ হাসান আরিফ ও পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা মতবিনিময় সভায় যোগদান করবেন। ইতোমধ্যেই সোয়া ১০টার দিকে অন্তর্বর্তী সরকারের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলটি তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারযোগে রাঙামাটির উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। দুপুর ২টার দিকে তারা হেলিকপ্টারযোগে খাগড়াছড়ি যাওয়ার কথা রয়েছে।

বুধবার ভোরে খাগড়াছড়ি সদরে নোয়াপাড়া এলাকায় একটি লাশ পাওয়ার ঘটনার জের ধরে দীঘিনালা ও খাগড়াছড়ি সদরে অপ্রীতিকর ঘটনায় ৩ জন নিহত ও আরও কয়েকজন আহত হন। দীঘিনালায় পুড়িয়ে দেয়া হয় শতাধিক দোকানপাট।

এ সম্পর্কিত আরও খবর