নিজের কোলে ঝোল টানার কাজ আমি করি না: সংসদে প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা, জাতীয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-31 17:44:58

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: নিজ নির্বাচনী এলাকা গোপালগঞ্জে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হবে কিনা এমন এক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, 'নিজের কোলে ঝোল টানার কাজ আমি করি না। শুধু নিজের এলাকা দেখব তা না, আমরা সার্বিকভাবে সমগ্র বাংলাদেশের সুষম উন্নয়নে বিশ্বাসী। তবে গোপালগঞ্জে বিমানবন্দর করার মত জায়গা নেই, যে জায়গা আছে চাষের জমি, আমি চাষের জমি নষ্ট করতে চাই না। তবে দক্ষিণাঞ্চলে বিমানবন্দর করার জন্য বিভিন্ন জায়গায় সমীক্ষা করা হচ্ছে।'

বুধবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে একাদশ জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদের এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রশ্নকর্তা কাজী ফিরোজ রশিদের বাড়িও কোটালীপাড়া।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, 'একটা দেশের উন্নয়নের জন্য সুষ্ঠু পরিকল্পনা প্রয়োজন। দেখতে হবে যে কাজটা করলে অধিক সংখ্যক মানুষ উপকার পাবে। বেশি মানুষ সুবিধা পাবে সেগুলো চিন্তা করেই আমি কিন্তু কাজ করি। যখন জনগণের ভোটে নির্বাচিত হই, যখন জনগণের ভোটে প্রধানমন্ত্রী হতে পারি তখন সমগ্র বাংলাদেশের সকল জনগণের জন্য আমি কাজ করি। শুধু মাত্র নিজের কোলে ঝোল টানার কাজ আমি করি না।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, 'হ্যাঁ আমাদের কোটালীপাড়া, টুঙ্গিপাড়া তথা দক্ষিণাঞ্চল সব থেকে বেশি অসচ্ছল, অবহেলিত ছিল। এই অঞ্চলের মানুষ অনেক অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হয়েছে সেটা এখনো মনে পড়লে শিউরে উঠি। এই কোটালীপাড়ায় কোন রাস্তাঘাট ছিল না। আমি যখন টুঙ্গিপাড়া যেতাম লঞ্চে সেখানে যেতে ২২-২৪ ঘণ্টা সময় লাগত। শুধু তাই না কোটালিপাড়া থেকে টুঙ্গিপাড়া যেতে আরও ২-৩ ঘণ্টা লেগে যেত লঞ্চে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে সেখানে ব্যাপক রাস্তাঘাট করে দিয়েছে।'

সংসদ নেতা বলেন, 'কোটালীপাড়া উন্নয়নের জন্য ওখানে যে ঘাগরা নদী আছে সেই নদী ড্রেজিং করে নাব্যতা ফিরিয়ে দিতে চাই। যাতে সেখানে ব্যবসা বাণিজ্যের ব্যাপক উন্নয়ন হয়। প্রশ্নকারীকে খোঁচা মেরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর আগে অনেকেই কিন্তু ক্ষমতায় ছিলেন যিনি প্রশ্ন করেছেন তিনিও কোটালিপাড়ার মানুষ। তারা ক্ষমতায়ও ছিলেন কিন্তু কিছুই করেননি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ওখানে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। সত্যি কথা বলতে কোটালিপাড়ায় বিমানবন্দর করার মতো জায়গা সেখানে নেই। কাজেই ওটা করা সম্ভব না। তাছাড়া আমার অনেক চাষের জমি নষ্ট হয়ে ডাবে সেটা আমি করতে চাই না। হ্যাঁ একটা বিমানবন্দর দক্ষিণাঞ্চলে করতে চেয়েছিলাম। সব থেকে বড় অসুবিধা হল আমরা চর জাজিরাতে মাটি পরীক্ষা করেছিলাম সেখানে বিমানবন্দর করার মতো মাটির ওইরকম শক্তি নেই। একটা সমস্যা আছে। তাছাড়া আমরা বিভিন্ন জায়গা পরীক্ষা করছি। তবে আমরা বিকল্প একটা কাজ করছি রাস্তার ব্যাপক উন্নয়ন করছি। তাছাড়া পদ্মা সেতু হলে দ্রুত মানুষ দ্রুত কোটালিপাড়ায় যেতে পারবে। দারিদ্র বিমোচনের জন্য সেখানে একটি ট্রেনিং একাডেমি করে দিয়েছি তবে শিল্পায়ন করি যাই করি চাষি জমিকে রক্ষা করেই করব। চাষি জমি রক্ষা করা আমাদের অগ্রাধিকার।

এ সম্পর্কিত আরও খবর