'সম্মিলিতভাবে দেশের পর্যটন খাতকে বিশ্বের দোরগোড়ায় নিয়ে যাবো'

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2024-09-27 14:02:44

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এর সচিব নাসরীন জাহান বলেন, সকলে সম্মিলিতভাবে কাজ করে বাংলাদেশের ট্যুরিজম সেক্টরকে বিশ্বের দোরগোড়ায় নিয়ে যাবো। সকল দূতাবাস, সরকারি, বেসরকারি সংস্থা নিয়ে বাজেটকে সুসংহত করে কিভাবে কাজ করা যায় সে উদ্যোগ নেবো।

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁও পর্যটন ভবনের শৈলপ্রপাত হলে বিশ্ব পর্যটন দিবস-২০২৪ উপলক্ষে ট্যুরিজম অ্যান্ড পিস পর্যটন শান্তির সোপান প্রতিপাদ্যে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

সচিব বলেন, পর্যটন শিল্পকে ঘরের কোণা থেকে শুরু করে সব জায়গায় ছড়িয়ে দিতে উদ্যোক্তাসহ সরকারি-বেসরকারি সবাইকে এক যোগে কাজ করতে হবে। পর্যটন ব্যক্তি মানুষকে বিশাল করে তোলে। পর্যটন মানুষের জীবনের আত্মশুদ্ধি করে। কারণ পর্যটনের মাধ্যমে একজন মানুষ অন্য মানুষের সঙ্গে মিলছে, অন্য ভাষার মানুষের সঙ্গে মিলছে, অন্য সংস্কৃতি, অন্য খাওয়া-দাওয়া সব কিছুর সঙ্গে পরিচিত হচ্ছে। যখন একজন মানুষ অন্য দেশ, ভাষা, সমাজ, সংস্কৃতির সঙ্গে মিশবে, তখন সে অনেক উদার হবে। আমরা সবাই সম্মিলিতভাবে পর্যটন খাতকে বিশ্বের দোরগোড়ায় নিয়ে যাবো।

আলোচনা সভায় মূখ্য আলোচকের বক্তব্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান বলেন, বাংলাদেশে পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনা বিরাজমান। কিন্তু এ বিশাল সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও আমরা এ খাতে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করতে পারিনি। এ শিল্পের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন সমন্বিত পরিকল্পনা। দেশীয় পর্যটন বিকাশের পাশাপাশি বিদেশি পর্যটক আকর্ষণে প্রচার-প্রচারণার ওপর গুরুত্বারোপ করতে হবে। পাশাপাশি এ শিল্পের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। সঠিক কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা গেলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে পর্যটন শিল্প অন্যতম ভূমিকা পালন করতে পারবে।

দেশের পর্যটন শিল্পের বিকাশে ইমিগ্রেশন পুলিশকে সৎ ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বিদেশি পর্যটকরা বিমানবন্দরের মাধ্যমেই দেশে আসে। কিন্তু সেখানে তারা ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে ভালো ব্যবহার পায় না। যদি বিমানবন্দরে ভালো ব্যবহার পায় তাহলে বিদেশি পর্যটক আরো বাড়বে।

তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশের মোট জনসংখ্যার এক শতাংশও যদি ঘুরতে বের হয় তাহলে ১৬ লাখ পর্যটক পাবো আমরা। কিন্তু এই বিশাল সংখ্যক মানুষের জন্য কি পর্যাপ্ত ব্যবস্থা আমাদের দেশে রয়েছে? এটি আমাদের বাড়াতে হবে। এতে আমাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান একেএম আখতার হোসেন প্রামানিকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ টুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মোঃ জাবের, বাংলাদেশ টুরিস্ট পুলিশের ডিআইজি (ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত আইজিপি) মোঃ আবু কালাম সিদ্দিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টুরিসম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট এর অধ্যাপক ড. মোঃ শরিফুল আলম খন্দকারসহ অনেকে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর