গরুর মাংসের আচারে দেশ-বিদেশে ব্যাপক সাড়া, লাখপতি সীমা

, জাতীয়

বর্ণালী জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর | 2024-09-29 11:37:35

গরুর মাংসের আবার আচারও হয়? এটি আবার কেমন আচার? খেতেই বা কেমন স্বাদ, নানান প্রশ্ন জাগে আচার প্রেমীদের মনে। প্রথমে নাম শুনে অবাক হলেও এই ভিন্ন স্বাদের আচার নিতে বেশ আগ্রহী হয়ে থাকেন ক্রেতারা।

চর্বি ছাড়া মাংস ও খাঁটি সরিষার তেল দিয়ে আচারের বিভিন্ন উপকরণে তৈরি হয় এই মাংসের আচার। হাতের তৈরি এই আচারে সুনাম কুড়িয়ে দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও ব্যাপক সাড়া পেয়েছেন রংপুরের সফল উদ্যোক্তা সীমা ইসলাম।

উদ্যোক্তা হওয়ার শুরুটা এক হাজার টাকা দিয়ে হলেও তিনি এখন লাখপতি। বর্তমানে তিনি আচার বিক্রি করে ১০ লাখ টাকা আয় করেছেন। নিজের দক্ষতায় স্বাবলম্বী হয়েছেন সীমা। হাতের কাজ ও বাহারি আচারের মধ্য দিয়ে ব্যাপক পরিচিতি পান তিনি। আলু বোখারার আচারে নিজের নাম ছড়িয়ে পড়ে আচার ওয়ালী হিসেবে।

তবে, ২০২০ সালে বিশেষ করে চমক দিয়েছেন গরুর মাংসের আচার তৈরি করে। কেজিপ্রতি গরুর মাংসের আচার বিক্রি করেন ১৮০০ টাকা কেজি দরে। পরিবার সামলে প্রতিমাসে আচার সেল দিয়ে যেন ফুসরত মিলে না তার।


রংপুরের পায়রাবন্দে জন্মস্থান তার। এইচএসসির গন্ডি পেরিয়ে বসতে হয়েছে বিয়ের পিড়িঁতে। তারপর থেকেই মায়ের আচারের স্বাদকে আকড়ে ধরে উদ্যোক্তা হিসেবে নিজের অনলাইন পেইজে শুরু করেন আচারের প্রচার। এভাবেই দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও এখন পরিচিত সফল উদ্যোক্তা সীমা।

সফল উদ্যোক্তা সীমা ইসলাম বলেন, হাতের কাছে যা ছিল তাই দিয়ে শুরু করেছি। বোনদের জামা তৈরিতে ১ হাজার টাকার কাজ অর্ডার নিয়ে যাত্রা ‍শুরু করে আজ আমি লাখপতি। গরুর মাংসের আচার বিক্রি করে ১০ লাখের মতো আয় করেছি। আজকের দিনটি পেতে অনেক বাধা বিপত্তি পেরিয়ে আসতে হয়েছে। স্বামীসহ পরিবারের সবােই আমাকে সাপোর্ট করেছে। তাদের অনুপ্রেরণায় নিজের পরিশ্রমে এতদূর এগিয়েছি। বিশেষ করে বাজারে টিকে আছি।

তিনি আরও বলেন, দেশের ৬৪ জেলায় আমার হাতের তৈরি আচার ও পোশাক যায়৷ এমনকি বিদেশেও ডিমান্ড অনুযায়ী ৯টি দেশে আচার পাঠিয়েছি। আমি উদ্যোক্তাদের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে চাই। এবং বাজারে প্রচারের সুযোগে নিজের তৈরি পণ্যকে ব্রান্ড হিসেবে পরিচিত করার প্রত্যাশা আছে। আর একজন উদ্যোক্তা হিসেবে অন্যান্যদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে চাই। এখন আমার হাতের কাজ নিয়ে অনেককেই সুযোগ করে দিতে পেরেছি আগামীতে পরিধি বাড়ানোর ইচ্ছে আছে।


তার সূক্ষ্ম হাতের নিপুণ ছোঁয়ায়, নানা প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে সীমা শুধু স্বাবলম্বী নন, তার ঝুলিতে জমেছে বেশ কিছু সফলতার পুরস্কার। গুটি গুটি পায়ে অসংখ্য উদ্যোক্তাদের মাঝে মানসম্পন্ন তৈরি পণ্য দিয়ে আগামীতে নিজেকে ব্রান্ড হিসেবে তুলে ধরতে চান তিনি। হাজারো উদ্যোক্তার অনুপ্রেরণা হয়ে বাজারে টিকে থাকার লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে চান সীমা।

এ সম্পর্কিত আরও খবর