বগুড়ায় সপ্তাহের ব্যবধানে চালের কেজিতে বেড়েছে ৪ টাকা

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম,বগুড়া | 2024-09-29 16:46:15

বগুড়ার খুচরা বাজারে এক সপ্তাহের ব্যবধানে চালের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ২ থেকে ৪ টাকা। বিক্রেতারা বলছেন চালের প্রকারভেদে এ দাম আরও বাড়বে।

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) বগুড়া শহরের ফতেহ আলী বাজার ঘুরে দেখা গেছে, স্থানীয় কাটারিভোগ চাল ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। একসপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ৬৬ টাকা কেজি। পাইজাম চাল বিক্রি হচ্ছে ৭২ টাকা কেজি, এক সপ্তাহ আগে ছিল ৭০ টাকা কেজি। বিআর-২৮ বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৬০ টাকা কেজি, এক সপ্তাহ আগে ছিল ৫৫ থেকে ৫৭ টাকা কেজি। বিআর-৪৯ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, এক সপ্তাহ আগে ছিল ৫৭ টাকা। স্বর্ণা বিক্রি হচ্ছে ৫৮ টাকা কেজি, এক সপ্তাহ আগে ছিল ৫৫ টাকা। মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি, এক সপ্তাহ আগে ছিল ৬৮ টাকা। নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি, এক সপ্তাহ আগে ছিল ৭৭ টাকা কেজি।

হঠাৎ করে চালের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, আড়তে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দাম বাড়ানো হয়েছে। অন্যদিকে চালকল মালিকরা বলছেন আড়তে চালের কোন সংকট নেই, দামও বাড়ানো হয়নি।

ফতেহ আলী বাজারে চাল কিনতে আসা নির্মল বসাক ও মাজেদুর রহমান বলেন, গত সপ্তাহের চেয়ে কেজি প্রতি ২ থেকে ৩ টাকা বেশি দরে চাল কিনতে হলো। তারা বলেন, এভাবে চালের দাম বাড়তে থাকলে আমাদের মত নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে পড়বে।

ফতেহ আলী বাজারের চাল বিক্রেতা সোহেল শেখ বলেন, খুচরা চাল ব্যবসায়ীদের কাছে মজুত না থাকার কারণে চালের মূল্য নির্ধারণ করে দিচ্ছে কর্পোরেট ব্যবসায়ীরা। আর একারণেই চালের বাজার ঊর্ধ্বমুখী।

একই বাজারের চাল বিক্রেতা অখিল চন্দ্র এবং জুয়েল হাসান বলেন, নতুন ধান বাজারে না আসা পর্যন্ত চালের দাম বাড়তে থাকবে। মৌসুম শেষ একারণে বাজারেও ধানের সংকট রয়েছে।

তবে বগুড়া চাল কল মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল হামিদ বলেন, ধান-চালের কোন সংকট নেই, আড়তেও দাম বাড়ানো হয়নি। খুচরা বিক্রেতারা তাদের ইচ্ছে মত দাম বাড়াচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন।

তিনি আরও বলেন, কাটারিভোগ এবং বিআর-২৯ ধানের চালের চাহিদা বাজারে বেশি। রোববারেও পাইকারি বাজারে কাটারিভোগ ৫৬ টাকা এবং বিআর -২৯ চাল ৪৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

বগুড়া সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হারুন-উর রশিদ বলেন, প্রতি বছর এসময় চালের দাম বাড়তে থাকে। নতুন ধান বাজারে না আসা পর্যন্ত দাম বাড়বে। তবে চালকলগুলোতে খাদ্য বিভাগের অভিযান চলমান। কোথাও অতিরিক্ত ধান-চাল মজুত পাওয়া যায়নি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর