৩৩ শতাংশ বাসের ফিটনেস নেই: হাইকোর্টে প্রতিবেদন

ঢাকা, জাতীয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-31 00:45:09

# ৪৪ শতাংশ সিএনজি'র সিলিন্ডার মেয়াদ উত্তীর্ণ


দেশের বিভিন্ন সড়কে চলাচলকারি ৩৩ শতাংশ যাত্রীবাহী বাসের ফিটনেস সার্টিফিকেট নেই বলে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করেছে এ সংক্রান্ত কমিটি।

একইসঙ্গে ৪৪ শতাংশ সিএনজি'র সিলিন্ডার মেয়াদ  উত্তীর্ণ বলে এ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে দাখিল করা ১৫০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য উঠে আসে।

গঠিত কমিটির পক্ষে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন আইনজীবী মো. রাফিউল ইসলাম। অন্যদিকে উপস্থিত ছিলেন রিট আবেদনকারী আইনজীবী মো. তানভির আহমেদ।

এর আগে গত ৩১ জুলাই বিশেষজ্ঞ কমিটির দ্বারা ফিটনেসহীন পরিবহনের ওপর জরিপ চালিয়ে তিন মাসের মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে দ্রুত সময়ের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব, বিআরটিএ চেয়ারম্যান এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সচিবের নেতৃত্বে অভিজ্ঞদের দ্বারা কমপক্ষে ১৫ সদস্যের একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ অনুসন্ধান কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন আদালত। পরে ওই কমিটির দ্বারা ফিটনেসহীন পরিবহনের ওপর জরিপ করে তিন মাসের মধ্যে তা প্রতিবেদন আকারে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়।

এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালত রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী তানভির আহমেদ। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ।

রিটকারী আইনজীবী তানভির আহমেদ বলেন, এ মামলার শুনানিকালে তারেক মাসুদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া সংক্রান্ত মামলার সিআইডি রিপোর্ট আদালতকে দেখিয়েছি। ওই রিপোর্টে গাড়ির ফিটনেসের অভাবের বিষয়টি উঠে এসেছে। তিতুমীর কলেজের ছাত্র রাজিবের মামলার ছবিও আদালতকে দেখিয়েছি। সে বাসটিও আনফিট ছিলো। এছাড়াও গত ২৯ জুলাই রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনের বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত ও আহত হওয়ার সঙ্গে জড়িত বাসের ছবিও আদালতকে দেখিয়েছি। দুর্ঘটনার শিকার এসব বাসের একটিরও ফিটনেস ছিলো না। তাই এ বিষয়ে আদালতে রুল জারি সহ নির্দেশনা চাওয়া হয়।

পরে রিটের শুনানি নিয়ে ফিটনেসবিহীন যান চলাচল বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবেনা, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ফিটনেসবিহীন যান চলাচল বন্ধে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবেনা, রুলে তাও জানতে চান আদালত।

চার সপ্তাহের মধ্যে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সচিব, স্বরাষ্ট মন্ত্রনালয় সচিব, বিআরটিএ চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ সড়ক নিরাপত্তা বিভাগের (বিআরটিএ) পরিচালক, বিআরটিএ ইনফোরসমেন্ট বিভাগের পরিচালক ও পুলিশের আইজিকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিআরটিএ থেকে ফিটনেসহীন পরিবহনের তালিকা করতে ১৬ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।

সড়ক পরবহন ও মহাসড়ক বিভাগের একজন উপযুক্ত প্রতিনিধিকে আহ্বায়ক করে এবং বিআরটিএ এর সচিবকে সদস্য সচিব ঘোষণা করে ওই কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে  সদস্য হিসেবে রাখা হয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি, পুলিশ সদর দপ্তরের একজন উপযুক্ত প্রতিনিধি, হাইওয়ে পুলিশের একজন উপযুক্ত প্রতিনিধি, বিআরটিএ এর একজন উপযুক্ত প্রতিনিধি, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের একজন করে প্রতিনিধি, সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের একজন উপযুক্ত প্রতিনিধি, স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের একজন উপযুক্ত প্রতিনিধি, যন্ত্র প্রকৌশলী বিভাগের (বাংলাদেশ প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়ের) একজন উপযুক্ত প্রতিনিধি, এক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট-বুয়েট এর একজন প্রতিনিধি, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির একজন উপযুক্ত প্রতিনিধি, ঢাকা মহানগর সিএনজি অটোরিকশা মালিক সমিতির একজন উপযুক্ত প্রতিনিধি এবং কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদকে।

 

এ সম্পর্কিত আরও খবর