দলের ক্ষতিগ্রস্ত নেতাকর্মীদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে তাদের দায়িত্ব নিতে ৩০০ আসনের প্রার্থীদের আহ্বান জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
তিনি বলেন, 'আমাদের যারা প্রার্থী ছিলেন তাদেরকে বলছি যেসব নেতাকর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আপনারা তাদের পাশে দাঁড়াবেন। আমরা এ বিষয় মনিটরিং করব। এবং পরবর্তীতে সেটা দেখে মুল্যায়ন করা হবে।'
শুক্রবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সারাদেশে বন্দী নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, 'আজকে অনেকেই আমাদের বলছেন, আমরা পরাজিত হয়েছি। আমরা পরাজিত হয়নি, পরাজিত হয়েছে আওয়ামী লীগ। তাদের নৈতিক পরাজয় হয়েছে। তারা বুকে হাত দিয়ে বলুক যে জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত, পারবে না।'
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, 'আইনি প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়ার মুক্তি সম্ভব নয়। যদি খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে চান, তাহলে আন্দোলনের বিকল্প নেই। আন্দোলন করতে হলে দলকে পুনর্গঠন করতে হবে। তার আগে দলের ক্ষতিগ্রস্ত নেতাকর্মীদের পুনর্বাসন করতে হবে।'
তিনি বলেন, 'নির্বাচনের আগে আমরা বলেছিলাম, খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া নির্বাচনে যাবো না। খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়া হয়নি। আমরা সংলাপে বসে যে দাবি জানিয়েছিলাম তার একটি দাবিও মানা হয়নি। তারপরও আমরা নির্বাচনে গিয়েছিলাম। কারণ, ২০১৪ সালের নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্তকে অনেকেই ভুল ছিল বলেছেন।'
মওদুদ আহমদ আরও বলেন, 'এখন আমরা নির্বাচনে গেলাম। এর মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয় দলীয় সরকারের অধীনে কখনোই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এবং ২০১৪ সালে নির্বাচনে অংশ না নেয়া যে সঠিক ছিল তা প্রমাণ হয়েছে।'
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, এজেডএম জাহিদ, আহমেদ আযম খান, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী প্রমুখ।