নদীতে ডুবে নিখোঁজ শিক্ষার্থীর মরদেহ দু’দিন পর উদ্ধার

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চাঁদপুর | 2024-10-13 15:46:27

চাঁদপুরের মতলব উত্তর মোহনপুর পর্যটন কেন্দ্রে (মেঘনা নদী) গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে নিখোঁজের দুই দিন পর শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে মোহনপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ি । নিহত ওই শিক্ষার্থীর নাম মো. আবির (১০)।

সে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার বাঘবের এলাকার জজ মিয়ার ছেলে এবং ভক্তবাড়ী বাজারস্থ আল আকসা রেসিডেন্সিয়াল মাদ্রাসায় হেফজ বিভাগে ছাত্র ছিলেন।

শনিবার (১২ অক্টোবর) সকালে উপজেলার আমিরাবাদ মেঘনা নদীতে নিখোঁজ মো. আবিরের মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা মোহনপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়িকে খবর দেয়।

মোহনপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. কামরুজ্জামান জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

তিনি জানান, এ বিষয়ে মতলব উত্তর থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের বড় কাকা মো. ফজলুর হকের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর পর্যটন কেন্দ্রে (মেঘনা নদী) পিকনিকে আসে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ আল আকসা রেসিডেন্সিয়াল মাদ্রাসায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকবৃন্দ। সেখানে নদীর পানিতে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে শিক্ষার্থী মো. আবির নিখোঁজ হয়।

এর দুই দিন পর তার মরদেহ উদ্ধার করে মোহনপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ি।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত বছরও নারায়ণগঞ্জ ক্যামব্রিয়ান স্কুল এন্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থী একই স্থানে ডুবে মৃত্যু হয়। কিন্তু পর্যটন কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে কোনো সতর্কতা অবলম্বন করেনি। সাঁতার না জানা শিশুদের নামতে দেয়া কোনোভাবে ঠিক হচ্ছে না।

নিহত মো. আবিরের চাচা ফজলুল হক জানান, গত বৃহস্পতিবার আমার ভাতিজা তার মাদ্রাসার শিক্ষকদের সাথে মোহনপুর পর্যটন কেন্দ্রে পিকনিকে আসেন। পাশে মেঘনা নদীর তীরে সহপাঠীদের সাথে আনন্দ উদযাপন করার সময় মেঘনা নদীর পানিতে তলিয়ে যায়। পরে মোহনপুর নৌ পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, ডুবুরিদলকে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে এসে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে চলে যায়।

দুই দিন পরে আমিরাবাদ এলাকার মেঘনা নদীতে আমার ভাতিজার মরদেহ ভেসে ওঠে। পরে সেখান থেকে আমার ভাতিজার মরদেহ আমরা বাড়িতে নিয়ে আসি।

তিনি আরও বলেন, মোহনপুর পর্যটনকেন্দ্রে কোনো নিরাপত্তা নাই, নিরাপত্তা ছাড়া তারা কীভাবে একটা পর্যটনকেন্দ্র চালু করে। আমার ভাতিজা নিখোঁজ হওয়ার পর ঐ পর্যটন কেন্দ্রের কেউ আমাদের সাথে যোগাযোগও করেননি।

এ বিষয়ে মোহনপুর পর্যটন লিমিটেডের চেয়ারম্যান কাজী মিজানুর রহমানের নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর