বিএনপি নেতা নজরুলের ‘গুম’ নাটক

, জাতীয়

সেন্ট্রাল ডেস্ক ২ | 2023-08-27 16:34:25

খুলনা জেলা বিএনপির সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মোড়লকে কেউ অপহরণ বা গুম করেনি। তিনি ১৫ লাখ টাকা দেনার দায়ে কক্সবাজারের রামুতে আত্মগোপন করেছিলেন। শুক্রবার বিকেলে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ স্বীকারোক্তি করেন নজরুল। এর আগে দুপুরে খুলনার বিচারিক হাকিম তৃতীয় আদালতের বিচারক রওশন আরা রহমানের কাছে নজরুল একইভাবে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। সংবাদ সম্মেলনে খুলনা জেলা পুলিশ সুপার নিজামুল হক মোল্যা বলেন, ১৭ মার্চ নজরুল যশোরের কেশবপুর হয়ে ঢাকায় যান। পরের দিন ঢাকা থেকে রামুতে যান। রামুতে সাইফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে থাকতেন তিনি। খুলনা কারাগারে থাকাকালে সাইফুলের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। পুলিশ সুপার বলেন, কক্সবাজারে গিয়ে নজরুল তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ রাখেন। পরে নতুন মোবাইল ও সিমকার্ড ব্যবহার শুরু করেন। এ সময় দাড়ি কামিয়ে ফেলেন তিনি। চলাফেরায় সন্দেহ হওয়ায় নজরুলের ঠিকানা ও কক্সবাজারে আসার উদ্দেশ্য জানতে চায় পুলিশ। জবাবে তার বক্তব্যে অসংলগ্নতা ধরা পড়ে। এক পর্যায়ে নজরুল খুলনার ডুমুরিয়ায় যে মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করতেন সেই মাদ্রাসার এক শিক্ষককে ফোন করে পুলিশ নিশ্চিত হয় তার বাড়ি খুলনায়। এক পর্যায়ে ডুমুরিয়ার ওই শিক্ষকের কাছে করা ফোন নম্বরের সূত্র ধরে মোবাইল ট্র্যাকিঙের মাধ্যমে খুলনা পুলিশ নিশ্চিত হয় নজরুল রামুতে আছেন। পরে কক্সবাজার পুলিশের সহায়তায় খুলনা জেলা ও ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে বুধবার রাতে রামু থেকে তাকে আটক করে। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খুলনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) এস এম শফিউল্লাহ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) সজীব খান, ডিবির ওসি শিকদার আক্কাস আলী ও ডুমুরিয়া থানার ওসি হাবিল হোসেন। গত ১৭ মার্চ থেকে নিখোঁজ ছিলেন বিএনপি নেতা নজরুল। স্বামী নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় ওই দিন রাতে স্ত্রী তানজিলা বেগম ডুমুরিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পরের দিন জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে খুলনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে নজরুলকে গুম করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে খুলনা জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এস এম শফিকুল আলম মনা ও সাধারণ সম্পাদক আমীর এজাজ খান উপস্থিত ছিলেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর