বিদ্যমান সংবিধান জনগণের গণতান্ত্রিক সংবিধান না। এটি একটি অবৈধ সংবিধান বলে মন্তব্য করে এই সংবিধান বাতিলের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের আমন্ত্রণে সংলাপে অংশ নিয়ে উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে এসব কথা বলেন তিনি।
ফয়জুল হাকিম বলেন, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল ও জাতীয় গণফ্রন্টের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টার আমন্ত্রণে তার সঙ্গে আমরা সংলাপে বসেছিলাম। আমরা সুস্পষ্টভাবে সরকারকে বলেছি ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে ভারত থেকে নিয়ে এসে ফ্যসিবাদের দোসরদেরকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। আমরা পরিষ্কারভাবে বলেছি, প্রশ্ন তুলেছি যে কিভাবে তারা পালিয়ে গেল? আমরা প্রশ্ন তুলেছি যারা এই ছাত্র শ্রমিকের গণঅভ্যুত্থানে নিহত ও আহত হয়েছেন, পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন তাদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা করতে হবে এবং আবাসন চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
জনগণের হাতে ক্ষমতা আনার জন্য জনগণের সরকার এবং সংবিধান প্রতিষ্ঠার জন্য এখানে সংবিধান সভার একটা নির্বাচন করতে হবে।
আমরা বলেছি, আজকে বাজারি শোষণে জনগণের জীবন দিশেহারা। সুতরাং সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে হবে এবং বাজারের দর নিয়ন্ত্রণের জন্য পূর্ণ রেশনিং চালু করতে হবে। প্রয়োজনীয় বাজেট থেকে টাকা কেটে এখানে নিয়ে আসতে হবে। যাতে দরিদ্র ও সাধারণ মানুষকে আজকে রেশনিংয়ের মাধ্যমে বাজারকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। আমরা পরিষ্কারভাবে বলেছি ছাত্র শ্রমিক জনতার এই গণঅভ্যুত্থানকে ব্যর্থ হতে দেয়া যাবে না।
আমরা দাবি তুলেছি, বন্ধ ২৫টি চিনিকল খুলে দিয়ে চালু করতে হবে। গার্মেন্টস শ্রমিকদের উপযুক্ত মজুরি দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। সরকারি হাসপাতালগুলোতে গত ১৬ বছরে যে ইউআরসি চালু করা হয়েছে, সরকারি হাসপাতালে বসে সরকারি ডাক্তাররা প্রাইভেট প্র্যাকটিস করবে এটা হতে দেয়া যাবে না। বাংলাদেশের সব ধরনের জাতির জন্য জাতিসত্ত্বা কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছি।
সাম্প্রতিককালে খাগড়াছড়ি পার্বত্য চট্টগ্রামের দিঘিনালায় যে ঘটনা ঘটেছে তার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার করতে হবে। পার্বত্য অঞ্চলে অপারেশন উত্তোরণ। এটি বাতিল করতে হবে। এই দাবিগুলো আমরা সেখানে তুলেছি। এই দেশে জনগণের হাতে ক্ষমতা আনার যে প্রশ্ন রয়েছে সেই প্রশ্নকে কেন্দ্র করে যত কালা কানুন আছে সেগুলো বাতিল করতে হবে।