রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগসহ চার দফা দাবিতে বঙ্গভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে তারা ঘেরাও ও অবস্থান কর্মসূচির উদ্দেশ্যে বঙ্গভবনের সামনে অবস্থান নেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা কমিটি (স্বারক), জিয়া সাইবার ফোর্সসহ আরও কয়েকটি সংগঠন এই অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে। এছাড়া ব্যক্তিগত ব্যানারেও অবস্থান নেন কেউ কেউ।
এদিকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ ও ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে শহীদ মিনারে শুরু হয়েছে গণজমায়েত। গণজমায়েতের ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ তার ফেসবুকে এক পোস্ট থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সবাইকে জড়ো হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
পোস্টে ছাত্রলীগকে তিনি 'সন্ত্রাসী' হিসেবে বর্ণনা করে নিষিদ্ধের দাবি জানান। এছাড়া নিজের পোস্টে রাষ্ট্রপতিকে 'ফ্যাসিবাদের দোসর' অ্যাখ্যা দিয়ে তার পদত্যাগ দাবি করেছেন।
আরেক সমন্বয়ক সারজিস আলম বিকেলে শহীদ মিনারে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি ফেসবুকে সবাইকে শহীদ মিনারে আসার আহ্বান জানান।
সারজিস আলম লিখেছেন, সন্ত্রাসী ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ, ফ্যাসিস্টের দোসর চুপ্পুর পদত্যাগের দাবিতে শহীদ মিনারে গণজমায়েতে বিপ্লবী ছাত্র-জনতার সাথে দেখা হচ্ছে ৷
সম্প্রতি মানজমিন পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমানের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি বলেন, তার কাছে শেখ হাসিনার পদত্যাগ সংক্রান্ত কোনো দালিলিক প্রমাণ বা নথিপত্র নেই। এ নিয়ে সোমবার দিনভর নানা বিতর্ক ও সমালোচনা চলে দেশজুড়ে।
এরপর থেকেই বিভিন্ন মহল থেকে রাষ্ট্রপতির পদে তার থাকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। যদিও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের বিষয়টি মীমাংসিত বলে মন্তব্য করে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, এ বিষয়ে নতুন করে কোনো বিতর্ক সৃষ্টি করে অন্তর্বর্তী সরকারকে অস্থিতিশীল কিংবা বিব্রত করা থেকে বিরত থাকুন।
সোমবার (২১ অক্টোবর) রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের এক প্রেস রিলিজে এ তথ্য জানানো হয়েছে।