বিদ্যার দেবীর অর্চনায় মুখরিত খুবি ক্যাম্পাস

খুলনা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, খুলনা, বার্তা২৪.কম | 2023-08-24 22:03:56

বিদ্যা বুদ্ধিতে সমৃদ্ধ হতে বিদ্যার দেবী সরস্বতীর পূজা অর্চনায় শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। ঢাক-ঢোল-কাঁসর, শঙ্খ ও উলুধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাসের মন্দির প্রাঙ্গণ।

রোববার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নির্মাণাধীন মন্দির প্রাঙ্গণে শুরু হয় বাণী অর্চনা। এতে পুরোহিতের সঙ্গে ভক্তরা দেবী সরস্বতীর প্রণাম স্তুতি 'সরস্বতী মহাভাগে বিদ্যে কমল লোচনে/বিশ্বরূপে বিশালাক্ষী বিদ্যাংদেহী নমোস্তুতে' পাঠ করেন এবং দেবীর আশীর্বাদ কামনা করেন। এরপর শিক্ষার্থী ভক্তরা দেবী সরস্বতীকে পুষ্পাঞ্জলি দেন। এ সময় ভক্তদের হাতে অঞ্জলি ও প্রসাদ বিতরণ করা হয়।

বাণী অর্চনা অনুষ্ঠানে সরস্বতী পূজা উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. সমীর কুমার সাধুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান বলেন, প্রতিটি ধর্মেই বিদ্যাশিক্ষার আলোকবর্তিকা হাতে কুসংস্কার দূরের কথা বলা হয়। সরস্বতী পূজাও তেমনই একটি বার্তা দেয়। সরস্বতী পূজাকে ঘিরে খুবি ক্যাম্পাস আজ এক মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে।

হিন্দু শাস্ত্র মতে, প্রতি বছর মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে শ্বেতশুভ্র কল্যাণময়ী বিদ্যাদেবীর বন্দনা করা হয়। ঐশ্বর্যদায়িনী, বুদ্ধিদায়িনী, জ্ঞানদায়িনী, সিদ্ধিদায়িনী, মোক্ষদায়িনী এবং শক্তির আধার হিসেবে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা সরস্বতী দেবীর আরাধনা করেন। আর তাই খুবির সনাতন ধর্মীয় শিক্ষার্থীরা জাঁকজমকপূর্ণ সাজে সজ্জিত হয়ে সরস্বতী পূজায় আসেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগের শিক্ষার্থীরাও এ পূজার প্রসাদ গ্রহণ আর আনন্দে অংশ নেন।

খুবির শিক্ষার্থী অনিন্দিতা দত্ত বার্তা২৪.কমকে জানান, প্রতিবছরই অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়ে বিদ্যার দেবী সরস্বতী পূজা হয়। দেবী খুশি হলে বিদ্যা ও বুদ্ধি অর্জিত হবে। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগের শিক্ষার্থীরাই এ পূজায় অংশগ্রহণ ও উদযাপন করে।

উল্লেখ্য, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের রীতি অনুযায়ী সরস্বতী বিদ্যা, বাণী ও সুরের অধিষ্ঠাত্রী দেবী। মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে সাদা রাজহাঁসে চেপে দেবী সরস্বতী পৃথিবীতে আসেন। তাই মধ্যরাতে মণ্ডপে দেবীর প্রতিমা স্থাপন থেকে শুরু হয় পূজার আনুষ্ঠানিকতা। এরপর ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী সকালে দেবীকে দুধ, মধু, দই, ঘি, কর্পূর, চন্দন দিয়ে স্নান করানো হয়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর