নওগাঁয় মাঠে আগাম শীতের সবজির সমারোহ

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ | 2024-10-28 11:32:36

নওগাঁর মাঠে মাঠে শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের শীতকালীন সবজি। ফুলকপি, বাঁধাকপি, সিম, বেগুন, মুলা, পালংশাকসহ এমন নানা শাক-সবজিতে ভরে গেছে কৃষকের খেত। ভালো দাম পাওয়ার আশায় সকাল থেকে সন্ধ্য পর্যন্ত খেত পরিচর্যায় ব্যাস্ত কৃষকরা। এদিকে এরমধ্যে বাজারেও উঠতে শুরু করেছে শীতকালীন সবজি। তবে দাম অনেক চড়া।

সরজেমিনে নওগাঁ সদর উপজেলার বর্ষাইল, কীর্ত্তিপুর, বক্তারপুর, চক আতিথা, তিলকপুর এলাকার মাঠগুলোতে দিনভর চাষিদের ব্যাস্ততা দেখা গেছে। সিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, করলা, বেগুন, মুলা, লাউ, পটল, বরবটি, গাজর, পালংক শাক, লালশাকসহ হরেক রকম আগাম শীতকালীন সবজি চাষ হচ্ছে। কৃষকরা রোদে পুড়ে সবজির ক্ষেত পরিচর্যা করছেন। কেউ চারার পরিচর্যা করছেন আবার কেউ সার-বালাইনাশক প্রয়োগ করছেন। এছাড়াও যারা পিছিয়ে পড়েছেন তারা জমি প্রস্তুত, বীজ বপনে তোড়জোড় শুরু করেছেন।

কৃষকরা বলছেন আগাম শীতকালীন সবজি চাষে পোকা মাকড়ের আক্রম, বৃষ্টিপাতসহ বিভিন্ন ঝুঁকি থাকে। এছাড়াও খরচ হয় বেশি। তারপরও বাজারে ভালো দাম থাকায় লাভ হয় দ্বিগুণ। এবছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভালো দাম পাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তারা।

কীর্ত্তিপুর গ্রামের আগাম সবজি চাষী নুরুল হক বলেন, ১০ কাটা জমিতে ফুলকপি চাষ করেছি। এবছর মাঝখানে বৃষ্টির কারণে চারা কিছুটা নষ্ট হয়েছে। তারপরও যেসব চারা আছে সেগুলোই এখন পরিচর্যা করছি ভালে দাম পাওয়ার আশায়।

বক্তারপুর গ্রামের সবজি চাষী সিদ্দিক আলী বলেন, দেড় বিঘা জমিতে আগাম সবজি চাষ করেছি। এ বছর বৃষ্টির কারণ আগাম সবজবি চাষে কিছুটা সমস্যা হয়েছে। এজন্য একটু বেশি পরিচর্যা করতে হয়েছে। অনেক খরচ পড়ছে। তবে অসময়ে বাজারে এই সবজির চাহিদা থাকে অনেক। এ কারণে এই সবজিগুলো বাজারে বেশি দামে বিক্রি করা যায়। এ জন্য আগাম শীতকালীন সবজি চাষে আমাদের আগ্রহ বেশি থাকে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে এবছর শীতকালীন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে। আগাম শীতকালীন সবজি চাষ হয়েছে প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমিতে।

নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মেহেদুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টির পর থেকে কৃষকরা আগাম শীতকালীন বিভিন্ন ধরনের সবজির আবাদ শুরু করেছেন। যা এরইমধ্যে বাজারে উঠেছে এবং কৃষকরাও ভালো দাম পাচ্ছেন। আগাম শীতকালীন সবজি চাষে একটু ঝুকি বেশি থাকে। এজন্য কৃষকদের সঠিক সময়ে এবং সঠিক পদ্ধতিতে সুষম সার, জৈব সার এবং কীটনাশকের সঠিক ব্যবহারের জন্য মাঠ পর্যায়ে তাদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর