আজ বিশ্ব জেলিফিশ দিবস। জেলিফিশের অর্থনৈতিক ও অন্যান্য গুরুত্ব তুলে ধরতে ৩ নভেম্বর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ‘বিশ্ব জেলিফিশ দিবস’ পালিত হয়। বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইন্সটিটিউট (বরি) ২০২২ সাল থেকে সেমিনারসহ নানা প্রোগামের মাধ্যমে দিবসটি পালন করলেও এবার বাংলাদেশের কোথাও দিবসটি পালিত হচ্ছে না।
নামে ফিশ বা মাছ হলেও জেলিফিশ আসলে মাছ নয়। এদের বাহ্যিক গঠনের সাথে মাছের গঠনের কোনো ধরনের মিল নেই। এরা মূলত নিডারিয়া পর্বের অমেরুদণ্ডী প্রাণী এবং এরা এতই বৈচিত্রময় যে, অনেক বিজ্ঞানী তাদের কেবল ‘জেলাটিনাস জুপ্ল্যাঙ্কটন’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। জেলিফিশের মাছের মতো আঁশ, ফুলকা বা পাখনা থাকে না। এর পরিবর্তে তারা তাদের গোলাকৃতি ‘বেল’ খোলা এবং বন্ধ করার মাধ্যমে সাঁতার কাটে। তাদের শরীর ৯৮ ভাগ পানি দিয়ে গঠিত। যখন তারা উপকূলে ভেসে চলে আসে, তারা মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরে অদৃশ্য হয়ে যেতে পারে। কারণ তাদের দেহ দ্রুত বাতাসে বাষ্প হয়ে যায়। তাদের কোনো মস্তিষ্ক নেই, কেবল একটি প্রাথমিক স্নায়ুতন্ত্র রয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে প্রচুর জেলিফিশের দেখা পাওয়া যায়। স্থানীয় ভাষায় যাকে বলে ‘নুইন্না’, প্রাণীটি এদেশে খাওয়া হয় না বলে এর কোনো অর্থনৈতিক মূল্যও নেই। তবে ২০২২ সালের আগস্টের শুরু থেকে কক্সবাজার সৈকতে হাজার হাজার জেলিফিশ ভেসে আসতে থাকলে বোরির বিজ্ঞানীরা সেমিনার করে জানান, কক্সবাজার সৈকতে ভেসে আসা বেশ কয়েক প্রজাতির জেলিফিশ খাওয়ার উপযোগী এবং বিদেশে জেলিফিশ রপ্তানি করে শত শত কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা যায়। ছবি: সংগৃহীত