ময়মনসিংহ নগরীতে ফিলিং স্টেশনে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ তোফাজ্জল হোসেন (৪৫) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩ জনে দাঁড়িয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সকালে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দগ্ধ ৫ জনের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে, সোমবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় আব্দুল কুদ্দুস (৮৫) নামের একজন ময়মনসিংহ মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। বর্তমানে দগ্ধ দুজন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। বাকি ৪ জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নিহতরা হলেন, সদর উপজেলার কিছমত গ্রামের বাসিন্দা প্রাইভেটকার চালক হিমেল (৩০), রহমতপুর এলাকার ইসমাইল হোসেনের ছেলে আব্দুল কুদ্দুস (৮৫) ও সদর উপজেলার আব্দুস সালামের ছেলে তোফাজ্জল হোসেন (৪৫)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম খান।
জানা যায়, ঘটনার সময় ঢাকা থেকে আনা একটি এলপিজি গ্যাসের ট্যাঙ্ক লরি থেকে গ্যাস নামানো হচ্ছিল। পাশেই একটু দূরেই একটি প্রাইভেটকারে গ্যাস দেওয়া হচ্ছিল। এ সময় গ্যাস লিকেজ থেকে হঠাৎ এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে ৭টি গাডি অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত হয়ে যায়। এর মধ্যে একটি প্রাইভেকটার, তিনটি সিএনজিসহ অন্যান্য গাড়ি রয়েছে।
এসময় ভস্মীভূত প্রাইভেটকার থেকে হিমেল নামের এক দগ্ধ ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এক নারীসহ ৭ জন দগ্ধ হয়। তাদেরকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেলে পাঠানো হয়।
এর আগে ওই দিন বেলা পৌনে ৩টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট লুৎফুন্নাহার নাহারকে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে এই কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।