বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিন মাস ধরে চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল বৃহস্পতিবার মারা যান বেনাপোলের আবদুল্লাহ। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) তাকে গার্ড অব অনার প্রদানের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে।
এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় বেনাপোল পৌর বল ফিল্ড মাঠে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী নাজিব হাসান। পরে তার মরদেহ বেনাপোলের বড়আঁচড়া গ্রামে পারিবারিক কবর স্থানে দাফন করা হয়। এসময় স্থানীয় প্রশাসন, রজনীতিবিদ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ০৫ আগস্ট সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে দির্ঘ তিন মাস মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়েন আব্দুল্লাহ। পরে অবস্থার অবনতি হয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকা সিএমএইস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
নিহত আব্দুল্লাহ বেনাপোল পৌরসভার বড়আঁচড়া গ্রামের জব্বার আলীর ছেলে এবং সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের পলিটিকাল সায়েন্সের ছাত্র ছিল। ৪ ভাই বোনের মধ্যে সবার ছোট আব্দুল্লাহ। বড় ভাই বাবু ও মেঝ ভাই মিঠু ট্রাক শ্রমিক। আর বোন শশুর বাড়িতে। বাবা বন্দর শ্রমিক।
এদিকে আব্দুল্লার মৃত্যুর খবরে গতকাল বেনাপোল বন্দর পরিদর্শনে আসা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নৌ, পরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদপেষ্টা ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব:) এম সাখাওয়াত হোসেন নিহতের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারকে সান্তনা দেন। ঐ সময় বেনাপোল পৌরসভার পক্ষ থেকে ২৫ হাজার ও জেলা প্রশাসন থেকে ২৫ হাজার টাকা সহযোগীতা করা হয়। এছাড়া বিভিন্নভাবে সহযোগীতার আশ্বাস দেন উপদেষ্টা।