শীতের আগমনের এই মৌসুমে শহর থেকে শুরু করে অজপাড়াগাঁয়ে চলছে ওয়াজ মাহফিলসহ বিভিন্ন রকমের অনুষ্ঠান। প্রতিদিন এলাকার কোথাও না কোথাও অনুষ্ঠান হচ্ছে। এসব পোগ্রামের উল্লেখযোগ্য একটি প্রয়োজনীয় জিনিস হচ্ছে ডেকোরেশন ও মাইক সার্ভিস৷ এছাড়াও রয়েছে লাইটিং ও জেনারেটর৷
বর্তমানে এগুলোর চাহিদা আকাশচুম্বী। পোগ্রাম রাখতে গিয়ে হিমসিম খেতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের৷ কারণ, প্রতিদিন একাধিক পোগ্রামের অর্ডার আসছে। ফলে এর সাথে সংশ্লিষ্টদের এখন পোয়াবারো।
খোঁজ নিয়ে ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কিশোরগঞ্জের সবগুলো উপজেলায় এখন শীতের মৌসুমে ওয়াজ মাহফিল হচ্ছে বেশি। এছাড়াও গ্রামীণ মেলাসহ বিভিন্ন রকমের অনুষ্ঠান লেগেই আছে৷ প্রতিটি ইউনিয়নের কোথাও না কোথাও প্রতি রাতেই তিন চারটি পোগ্রাম হচ্ছে। এসব পোগ্রামে স্থানীয় ডেকোরেশন ও মাইক সার্ভিসের প্রয়োজন হচ্ছে৷ অনুষ্ঠান বড় হলে দূর থেকেও ডেকোরেশন আনা হচ্ছে৷ এসব ব্যবসার সঙ্গে জড়িত রয়েছে অনেক শ্রমিক৷ দিনরাত তারা এসব কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন৷ প্রতি রাতেই এসব পোগ্রামে মাইক সার্ভিস ভাড়া হচ্ছে ১৫-২৫ হাজার টাকার মধ্যে। এছাড়াও ডেকোরেশন খরচ তিরিশ হাজার থেকে শুরু হয়ে এক লক্ষ টাকাও হয়ে থাকে।
সাথী মাইক সার্ভিসের মালিক সবুজ ভুঁইয়া বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'শীত মৌসুমে অনেক অর্ডার পাচ্ছি। আমরা এখন বিরামহীন সময় পার করছি। ১০-১৫ জন শ্রমিক রয়েছে। প্রতিদিন পোগ্রাম আসছে। এক গ্রুপ আগের রাতে জেগে ডিউটি করলে পরের দিন অন্য গ্রুপকে নতুন পোগ্রামে পাঠায়। ব্যবসা ভালো চলছে এখন।'
দোলন ডেকোরেশনের মালিক আকরাম মিয়া বলেন, আমাদের কাজগুলো করা একটু সময়সাপেক্ষ। তবুও সপ্তাহে তিনটি কাজ করতে পারি। প্রতিটি পোগ্রাম থেকে খরচ বাদে ১৫-২০ হাজার টাকা আয় থাকে৷ চাহিদা তো অনেক কিন্তু সবগুলো কাজ রাখা সম্ভব হয় না। ওয়াজ, বিয়ের পোগ্রাম বেশি৷ এছাড়াও রাজনৈতিক দলের পোগ্রামও থাকে। সব মিলিয়ে এখন ভালো চলছে।'