রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার হাউজিং কর্মী বিল্লাল গাজী হত্যা মামলার অন্যতম আসামি ও ‘কবজি কাটা’ গ্রুপের অন্যতম সদস্য বিল্লাল ওরফে ভাগ্নে বিল্লাল ওরফে অগ্নি বিল্লালকে (২৮) দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) আদাবর থানার শ্যামলী হাউজিং এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এ সময় তার হেফাজত থেকে সামুরাই, পাহাড়ি দা, লক কাটার, তিনটি ওয়াকিটকি, দুটি ওয়াকিটকি চার্জার, শিশা খাওয়ার মেশিন, মোটরসাইকেল, রাউটার এবং দুটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার সকালে মোহাম্মদপুরের দুর্ধর্ষ এই গ্যাংটির সদস্যকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-২ সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) ও সহকারী পরিচালক শিহাব করিম।
মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলার বরাত দিয়ে এএসপি শিহাব করিম জানান, নিহত বিল্লাল গাজী (২৮) সাভার থানার একটি হাউজিং কোম্পানির মাঠ পর্যায়ের কর্মী। গত অক্টোবর মাসের ১ তারিখ রাতে বিল্লাল গাজী তার অফিসের লোকজনের সঙ্গে প্রকল্প এলাকা হতে হাউজিংয়ের লোকজনের সঙ্গে ডিউটি শেষে বাসায় ফেরার পথে মোহাম্মদপুর থানার নবোদয় হাউজিং এলাকায় মো. বিল্লাল ওরফে ভাগ্নে বিল্লালসহ কবজি কাটা গ্রুপের ২০ থেকে ২৫ সন্ত্রাসী পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বিল্লাল গাজীকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরবর্তীতে স্থানীয়রা বিল্লাল গাজীকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এই ঘটনায় নিহত বিল্লাল গাজীর মা বাদী হয়ে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় ২২ জন আসামির নাম উল্ল্যেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বর্ণিত মামলায় জড়িত আসামিদের গ্রেফতার সংক্রান্তে মোহাম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ এর অধিযাচন পত্রের প্রেক্ষিতে এই ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে র্যাব এ বিষয়ে আসামিদেরকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায়, তথ্য প্রযুক্তি ও গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-২ এর একটি দল মো.বিল্লাল ওরফে ভাগ্নে বিল্লাল(২৮)’কে গতকাল দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেফতার করে।
আসামিকে গ্রেফতার পূর্বক প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।