পুকুরের পানি বাঁচিয়ে দিয়েছে ভয়াবহ ক্ষতি

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-26 04:14:28

সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আগুন নেভানোর কাজে ব্যবহৃত হয়েছে পার্শ্ববর্তী পুকুরের পানি। দ্রুত পুকুরের পানি ব্যবহারের সুযোগ থাকায় ভয়াবহ ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে উদ্ধারকাজে অংশ নেওয়া স্থানীয় কর্মীরা।

আগুনের প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে হাসপাতালের উত্তর পাশের ভবনের তিন তলায় কালো ধোঁয়া দেখা যায়। কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানে আগুনের লেলিহান শিখা দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে। মানুষের গগনবিদারী চিৎকারে তখন স্থানীয় জনতা উদ্ধারে এগিয়ে আসেন।

জানা গেছে, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের উত্তরপাশের তিন তলা ১২নং ওয়ার্ড হল গাইনি বিভাগ। গাইনি বিভাগের উপরের তলায় ভবনের নির্মাণ কাজ চলছে। সেখানে নির্মাণ সামগ্রী রেখে একটি সেমি স্টোর রুম তৈরি করা ছিল। এর নিচ দোতলায় ৮নং সার্জারি ওয়ার্ড প্রথম তলায় ক্যান্সার ওয়ার্ড, ফিজিক্যাল মেডিসিন ডিপার্টমেন্ট স্টোরেজ রুম পাশাপাশি। এই তিনটি ওয়ার্ড আগুনে পুড়ে গেছে।

আগুন নেভানোর দায়িত্বে নিয়োজিত স্থানীয় জনতা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জানান, তিন তলা থেকে নিচ তলা পর্যন্ত তিনটি রুম পুড়ে ছাই। আরো ১২ থেকে ১৫টি কক্ষ আংশিক পুড়ে গেছে।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা ডিএডি মামুন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘পৌনে ছয়টা থেকে সাড়ে আটটা পর্যন্ত প্রায় তিনঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।’

তিনি বলেন, ‘উত্তর পাশের ভবনের বিপরীতে পুকুর থেকে পাইপ দিয় পানি টেনে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে দেওয়া হয়। পুকুর নিকটবর্তী থাকায় আগুন নেভানোর কাজ সহজ হয়ে আসে।’

উদ্ধারকাজে অংশ নেওয়া মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী দীপঙ্কর বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আগুন লাগার পরপরই ফায়ার সার্ভিসের লোকেদের সঙ্গে আমরা অংশ নিই। দ্রুত রোগীদের স্থানান্তরের ব্যবস্থা করি।‘

প্রতক্ষ্যদর্শী কামাল হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘হাসপাতালের পাশেই এটিআই-এর পুকুর থাকায় দ্রুত সেখান থেকে পানির ব্যবস্থা হয়ে যায়। স্থানীয়রা তারপর সেখান থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পুকুরটি থেকে পানি দিয়ে আগুন নেভাতে থাকে। আসলে পুকুরটি বাঁচিয়ে দিয়েছে ভয়াবহ ক্ষতি।’

রাত সাড়ে ১০টায় প্রতিবেদন লেখার সময় উদ্ধারকাজ সমাপ্ত হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের গাড়িগুলো স্থান ত্যাগ করছে।

এদিকে আগুনে হাসপাতালের কেউ হতহাত হয়নি বলে দাবি করেছেন হাসপাতালের পরিচালক ডা. উত্তম বড়ুয়া।

বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় সাংবাদিকদের সঙ্গে ব্রিফিংকালে তিনি বলেন, হাসপাতালে প্রায় ১২০০ রোগী ছিলেন। তাদেরকে জরুরিভিত্তিতে ঢাকা মেডিকেল, কুর্মিটোলা মেডিকেলসহ অন্যান্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। আইসিইউতে ১০ জন রোগী ছিলেন, তাদেরকেও সড়িয়ে নেওয়া হয়েছে। কোনো রোগীর ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর