লালমনিরহাটে সারের বাজার নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত অভিযানে বিপুল পরিমাণ সার জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। পাশাপাশি ব্যবসায়ীদেরকেও জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) ভ্রাম্যমাণ আদালতের পৃথক অভিযানে এসব সার জব্দ ও জরিমানা আদায় করেছেন।
জানা গেছে, রবি মৌসুমে ফসল চাষাবাদের শুরুতে সারের কৃত্রিম সংকট তৈরী করে অতিরিক্ত দামে সার বিক্রি করছেন কতিপয় অসাধু বিক্রেতা। এ কারনে জেলা ব্যাপী সার নিয়ে কৃষকদের মাঝে হাহাকার উঠেছে। সারের বাজার নিয়ন্ত্রণে মজুদদার ও অবৈধ সার বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে জেলা প্রশাসন। এরই অংশ হিসেবে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আদিতমারী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ওমর ফারুক পুলিশ নিয়ে বৃহস্পতিবার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
এ সময় উপজেলার বুড়ির বাজারস্থ কৃষি সেবা ঘর এর গুদাম থেকে অবৈধভাবে মজুদ করা ৭৭ বস্তা বিভিন্ন জাতের সার জব্দ করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ইতিপূর্বেও তাকে সতর্ক করা হলেও পরিবর্তন না হওয়ায় অবৈধ সার মজুদের অপরাধে তার ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আরেকটি অভিযানে একই বাজারের বিসমিল্লাহ সার ঘর থেকে অবৈধ মজুদ করা ৭৭ বস্তা সার জব্দ করা হয়। তবে এ মজুদদার মিজানুর রহমানের কোন জরিমানা করা হয়নি।
অপর দিকে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জান্নাত আরা ফেরদৌস পুলিশ নিয়ে বুধবার রাতে দুরাকুটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে রফিকুল ইসলাম নামে এক সার বিক্রেতার ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। একই ভ্রাম্যমাণ আদালত অপর একটি অভিযানে মোগলহাট বাজারের মোশারফ হোসেনের ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
হাতীবান্ধা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দুলাল হোসেন জানান, সার অবৈধ মজুদ রোধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দুই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এ অভিযান চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এইচএম রকিব হায়দার বলেন, সারের অবৈধ মজুদ রোধে জেলা ব্যাপী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে। অবৈধ মজুদের দায়ে সার জব্দসহ অসাধু ব্যবসায়ীদের জরিমানা আদায় করা হয়েছে। জেলায় সারের কোন সংকট নেই। অবৈধ মজুদ ও অতিরিক্ত দাম রোধে স্থানীয় কৃষি বিভাগ এবং উপজেলা প্রশাসনকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।