সরকারিভাবে সারা দেশে আমন ধান ও চাল সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হলেও কুষ্টিয়ায় তেমন সাড়া মেলেনি।
গত ১৭ নভেম্বর দেশজুড়ে আমন মৌসুমে ধান, চাল সংগ্রহ শুরু হয়েছে। প্রায় ২৬ হাজার মেট্রিক টন ধান ও চাল সংগ্রহের উদ্যোগ নেয়া হলেও গত তিন সপ্তাহে চাল সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ১৪০ মেট্রিক টন।
চলতি মৌসুমে কুষ্টিয়ায় ১৯ হাজার ১০০ মেট্রিক টন সেদ্ধ চাল, ১ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন আতপ এবং ৬ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
জেলায় ২০ হাজার মেট্রিক টন লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে গত তিন সপ্তাহে চাল সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ১৪০ টন। আর ধান সংগ্রহ এখনো শূন্যের কোটায়। কৃষকরা বলছেন, ধানের জন্য সরকার যে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে, খুচরায় এর চেয়ে বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। তাই সরকারি দামে বিক্রি করা সম্ভব নয়।
এদিকে, ব্যবসায়ী ও মিলমালিকরা জানান, চালের যে দর দেয়া হয়েছে প্রক্রিয়াজাতকরণের খরচই পড়ছে এর চেয়ে বেশি। প্রতি কেজিতে সরকার ৪৭ টাকা বেঁধে দিলেও খরচ হচ্ছে ৫২ টাকার ওপরে। এতে ঘাটতি হবে ৫ টাকার মতো। সরকার থেকে কিছু প্রণোদনা পেলে হয়তো ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া যাবে।
কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক তৌফিকুর রহমান বলেন, সারা দেশে ধান ও চালের দর নির্ধারণ করা হয়েছে। জাতীয় সিদ্ধান্তের আলোকেই সবাইকে কাজ করতে হবে। তবে তাদের লোকসানের বিষয়টি সরকারকে জানানো হবে। পরবর্তীতে কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
উল্লেখ্য, গতবছর সরকারিভাবে ৪৫ টাকা কেজিতে চাল এবং ৩২ টাকায় ধান সংগ্রহ করা হয়।