গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন নিয়ে তাবলীগ জামায়াতের দুই পক্ষের সংঘর্ষে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এদিকে হামলায় হতাহতের ঘটনায় বিচারের দাবিতে মাওলানা সাদের অনুসারীরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবরোধ করেছেন।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে বিজিবি জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
সংঘর্ষের খবরে রাতেই ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হন। পরে বেলা বাড়ার সাথে সাথে ইজতেমা ময়দান জুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, রাত ৩টার দিকে সাদপন্থীরা তুরাগ নদীর পশ্চিম তীর থেকে কামারপাড়া ব্রিজসহ বিভিন্ন রাস্তা দিয়ে ইজতেমা মাঠে প্রবেশ করতে থাকে। এসময় মাঠের ভেতর থেকে জুবায়ের পন্থীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। তাদের এমন জবাবে সাদপন্থীরাও পাল্টা হামলা চালায়। একপর্যায়ে সাদপন্থীরা মাঠে প্রবেশ করলে উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়।
এতে ঘটনাস্থলেই ২ জন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছেন অপর একজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় বলে জানা গেছে।
সংঘর্ষে নিহতরা হলেন- কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া থানার এগারসিন্দুর বাচ্চু মিয়া (৭০) ও ঢাকার দক্ষিণ খানের বেড়াইদ এলাকার আ.সামাদের ছেলে বেলাল (৬০) ও বগুড়া জেলার তাইজুল ইসলাম (৬৫)।
টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসকন্দার হাবিব জানান, পরিস্থিতি উতপ্ত থাকায় পুরো এলাকায় সেনাবাহিনী, পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। সাদপন্থীরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছে।
প্রসঙ্গত, আগামী বছর দুই ধাপে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় পর্ব ৭ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। ৩ ডিসেম্বর শুরায়ে নেজামের আয়োজনে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের প্রস্তুতি হিসেবে ৫ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা শেষ হয়েছে। ২০ ডিসেম্বর সাদপন্থীরা জোড় ইজতেমা করবেন ও জুবায়েরপন্থীরা করতে দিবে না বলে বিরোধ চলছে। এ অবস্থায় উভয় পক্ষ পাল্টাপাল্টি সাংবাদিক সম্মেলন, সমাবেশসহ নানা কর্মসূচি পালন করছেন। জুবায়েরপন্থীদের সাংবাদিক সম্মেলনের পর সাদপন্থীরাও সম্মেলন করে তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন।