বাংলাদেশের অর্থনীতির চিত্র খুব একটা আশাব্যঞ্জক নয় বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। দীর্ঘদিনেও নিয়ন্ত্রণে আসছে না মূল্যস্ফীতি, যা আইএমএফের ধারণার চেয়েও অনেক বেশি।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশে সফররত সংস্থাটির প্রতিনিধি দলের প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিও একথা বলেন।
বাংলাদেশের বাজারে অব্যাহতভাবে খাদ্যমূল্য বৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। এজন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে দ্রব্যমূল্য কমাতে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি।
রিজার্ভের অবস্থাও চাপের মুখে রয়েছে বলে মনে করেন ক্রিস পাপাজর্জি। তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতির চাপে বাংলাদেশের অর্থনীতি। এজন্য প্রবৃদ্ধি কমবে। রাজস্ব আদায়ও কমেছে।
নতুন টাকা ছাপিয়ে বাজারে ছাড়াতেও আইএমএফ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তবে সংস্থাটি বিশ্বাস করে, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেছেন তারা যে টাকাটা নতুন করে বাজারে ছেড়েছে সেটা তারা দ্রুত বাজার থেকে তুলেও নেবে। তবে সেটা যদি না করে তাহলে মূল্যস্ফীতি আরো বাড়বে, যা দেশের সাধারণ মানুষের ভোগান্তি আরও বাড়াবে।
চতুর্থ কিস্তির সাড়ে ৬৪ কোটি ডলার বাংলাদেশ ফ্রেব্রুয়ারির শেষে পাবে জানিয়ে ক্রিস পাপাজর্জিও বলেন, একই পরিমাণ অর্থ পাবে পঞ্চম কিস্তিতে। সেই কিস্তির অর্থ ছাড়ের আগে মার্চ বা এপ্রিলে চতুর্থ পর্যালোচনা করবে আইএমএফ।
তিনি বলেন, বন্যা, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের কারণে চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৩.৮ শতাংশ। তবে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.৭ শতাংশে উন্নীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ চলমান ঋণ কর্মসূচির আকার আরও ৭৫ কোটি মার্কিন ডলার বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, চলমান ঋণ কর্মসূচির আওতায় চতুর্থ কিস্তিতে বাংলাদেশকে সাড়ে ৬৪ কোটি ডলার দেওয়া হবে।
রিজার্ভ নিয়ে আইএমএফের শর্তপূরণ করেছে বাংলাদেশ। নিট রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৫.৫৮ বিলিয়ন ডলার।