গাইবান্ধায় আবাসিক, অনাবাসিক বিদ্যুৎ সংযোগে প্রিপেইড মিটারে চরম আপত্তি জানিয়েছে স্থানীয় জনগণ।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে শহরের ডিবি রোডের গানাসাস মার্কেটের সামনে এক মানববন্ধন থেকে এই প্রতিরোধের আহ্বান জানানো হয়।
ডিজিটাল প্রিপেইড মিটার প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে অনুষ্ঠিত হয় এই মানববন্ধন। কমিটির আহবায়ক গোলাম রব্বানী মুসার সভাপতিত্বে ও অ্যাড. ফারুক কবীরের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন, কমিটির সদস্য সচিব জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোশাররফ হোসেন বাবু, পরিবেশ আন্দোলনের জেলা সভাপতি ওয়াজিউর রহমান রাফেল, গাইবান্ধা আদর্শ কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মমতাজুর রহমান বাবু, কুলি-শ্রমিক ইউনিয়নের জেলা সভাপতি রেজাউন্নবী রাজু, দলিল লেখক সমিতির জেলা সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মল্লিক, নাগরিক মঞ্চের আহবায়ক ও জেলা বারের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম বাবু, জনউদ্যোগের সদস্য সচিব প্রবীর চক্রবর্ত্তী, শ্রমিক নেতা কাজী আব্দুল ওয়াদুদ, বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হালিম, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের অ্যাড. শাহনেওয়াজ খান, ছাত্র ইউনিয়নের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মৈত্রেয় হাসান জয়িতা, মানবাধিকার কর্মী মনির হোসেন সুইট, কাজী আব্দুল খালেকসহ অন্যরা ।
এসময় বক্তারা বলেন, এই পদ্ধতির প্রতি রিচার্জে হাজারে ২শ ৪০ টাকা, মিটার ভাড়া ৪০ টাকাসহ ডিমান্ড ও সার্ভিস চার্জ কাটা হবে। গাইবান্ধা এমনিতেই অনুন্নত এলাকা, এখানে গরিব লোকের বসবাস বেশি। এ অবস্থায় বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটার সংযোগ দিলে সাধারণ গ্রাহকরা আর্থিক ক্ষতি ও হয়রানির শিকার হবেন।
আরও বলেন, সাধারণ গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিল কখনই বকেয়া থাকে না, বকেয়া থাকে সরকারি-আধাসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিল। যা হবে সাধারণ গ্রাহকের ওপর জুলুম। ফলে প্রিপেইড মিটার সংযোগ প্রকল্প থেকে গাইবান্ধাকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার জোড়ালো আহবান জানান বক্তারা। অন্যথায় আগামীতে বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচি পালন করা হবে বলেও ঘোষণা দেওয়া হয়।