কৃষি কাজকে আধুনিক প্রযুক্তির সাথে সম্পৃক্ত করার আহ্বান জানিয়ে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, প্রথাগত বা সনাতন পদ্ধতিতে চাষাবাদ করলে আমাদের চাহিদা পূরণ হবে না। দিন যত যাচ্ছে আমাদের চাহিদা তত বাড়ছে। চাহিদা পূরণে তাই কৃষিকে আধুনিক প্রযুক্তির সাথে সম্পৃক্ত করতে হবে। যত বেশি কৃষিখাতে আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হবে ততই কৃষক লাভবান হবে। আর কৃষক লাভবান হলে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে বালিয়াকান্দি উপজেলা প্রশাসনের আয়োজিত উপজেলার বিভিন্ন সরকারি দফতরের কর্মকর্তা, গণমাধ্যমকর্মী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদ্বয়ের সাথে মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিভিন্ন ফসলের বীজ আমাদের সংগ্রহের জন্য আমাদেরকে বিদেশিদের ওপর নির্ভরশীল হতে হয়। বীজ কেন আমাদেরকে আমদানি করতে হবে। আমাদের বীজ আমাদেরকেই সংগ্রহ করতে হবে। নিজেদের প্রয়োজনীয় জিনিস নিজেদেরকেই তৈরি করা শিখতে হবে। প্রতি বছর পেঁয়াজ চাষের সময় হলেই বাজারে হাহাকার পড়ে যায়। এটা কেন হবে? আমাদেরকে পরনির্ভরশীল হলে চলবে না।
বালিয়াকান্দির বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে মতবিনিময় সভায় অংশীজনদের মতামতের ওপর ভিত্তি করে জেলা প্রশাসক বলেন, একে একে সব সমস্যাগুলোর সমাধান করার চেষ্টা করা হবে। গড়াই নদীর ভাঙনরোধে কাজ করবে জেলা প্রশাসন। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকে আর আন্তরিক হতে হবে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে সংশ্লিষ্টদের।
চলতি শিক্ষাবর্ষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শতভাগ শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান থাকবে-যেভাবেই হোক প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেন শতভাগ শিক্ষার্থীর উপস্থিতি থাকে। শিশুদের শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যদি শিক্ষার্থীরা না আসে তাহলে তারা বিপথগামী হয়ে যাবে। পড়ালেখা থেকে দূরে সরে যাবে তারা। সবার সহযোগিতায় আমরা সুন্দর বালিয়াকান্দি, সুন্দর রাজবাড়ী গড়তে চাই।
বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার চৌধুরী মুস্তাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ফারুক হোসেন, কৃষি কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম, প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মানবেন্দ্র মজুমদার, মৎস্য কর্মকর্তা হালিমা সরদার, উপ-পরিদর্শক আল-আমীন প্রমুখ।