স্পিকার শিরীন শারমিন ও এরশাদের বিরুদ্ধে মামলা

রংপুর, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, রংপুর, বার্তা২৪.কম | 2023-08-23 04:19:40

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এবং স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে রোববার (১৭ ফেব্রুয়ারি)  হাইকোর্টের নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে।

সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় দুটি মামলার বাদী রংপুর-৬ আসনের পরাজিত প্রার্থী বিএনপি নেতা মো. সাইফুল ইসলাম এবং রংপুর-৩ আসনের পরাজিত প্রার্থী পিডিপি নেতা সাব্বির আহম্মেদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

জানা গেছে, একাদশ সংসদ নির্বাচনে জমা দেওয়া হলফনামায় তথ্য গোপনের অভিযোগ তুলে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলাটি করেছেন রংপুর-৩ (সদর ও সিটি) আসনে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক পার্টির (পিডিপি) পরাজিত প্রার্থী ও মহানগর জাসদের সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহম্মেদ।

অন্যদিকে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর বিজয় চ্যালেঞ্জ করে তার বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছে। এ মামলাটি দায়ের করেছেন রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) আসনের পরাজিত প্রার্থী ও রংপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম। ভোট কেন্দ্র দখল, এজেন্টদের মারধর, শতভাগ ভোট কাস্টিং দেখানো, প্রিসাইডিং অফিসারদের প্রকাশ্যে টাকা দেওয়াসহ অনেকগুলো অভিযোগ আনা হয়েছে শিরীন শারমিনের বিরুদ্ধে।

এ ব্যাপারে সাব্বির আহম্মেদ বলেন, ‘জাপা চেয়ারম্যান এরশাদ হলফনামায় তার শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট জমা দেয়নি। সার্টিফিকেট হারিয়েছে উল্লেখ করে একটি জিডির কপি জমা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এরশাদের বিরুদ্ধে দুদকের করা একটি মামলার তথ্যও হলফনামায় দেখানো হয়নি। এই দুই অভিযোগে তার প্রার্থিতা বাতিল হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তা হয়নি।

সাব্বির আহম্মেদের পক্ষে মামলাটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. ইয়রুল ইসলাম। এই আইনজীবী বলেন, ‘আমার মক্কেল শুরু থেকে এরশাদের তথ্য গোপনের বিষয়ে জেলা রিটানিং কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু রিটার্নিং কর্মকর্তা বিষয়টি আমলে না নেওয়ায় নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করা হয়। কিন্তু সেখানেও বিষয়টি আমলে নেওয়া হয়নি। এ কারণে হাইকোর্টের নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে ওই নির্বাচন বাতিল চেয়ে ন্যায় বিচার প্রার্থনা করে তথ্য গোপনের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।’

স্পিকার শিরীন শারমিনের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে সাইফুল ইসলাম জানান, ২০টি কেন্দ্রে শতভাগ ভোট কাস্ট দেখানো, এজেন্টদের মারধর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া, ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন, ভোটের তিন মাস আগে প্রিসাইডিং অফিসারদের প্রকাশ্যে টাকা দেওয়াসহ বেশ কিছু অভিযোগে এই মামলা করা হয়েছে। শিরীন শারমিন চৌধুরী ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভোট কারচুপির মাধ্যমে জয়ী হয়েছেন।

বিএনপি নেতার পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রাজীব প্রধান বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দিয়ে কোনো ফল না পাওয়ায় ভোট কারচুপির অভিযোগ এবং প্রার্থীর বিজয় চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করা হয়েছে।

এই দুই মামলার আইনজীবীরা জানান, প্রথমে বিবাদীদের প্রতি সমন জারি হবে। এক্ষত্রে তাদেরকে এক থেকে দেড় মাস সময় দেওয়া হতে পারে। এরপর বিবাদীপক্ষ সমনের জবাব দাখিল করবে। মোট ১৮০ কার্য দিবসের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করার বিধান রয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর