কক্সবাজারে নিখোঁজের ৮ ঘন্টা পর আল মুহাম্মদ হক আহাদ নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ৭ বছর বয়সের ওই শিশু সৈকত কিন্ডারগার্টেন স্কুলের ২য় শ্রেণির ছাত্র।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১ টার দিকে শিশুটির মরদেহ স্থানীয়দের সহায়তায় শহরের ডিসি পাহাড় এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। বুধবার (৮ জানুয়ারি) কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার পর বাকি আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ওসি ইলিয়াস খান।
নিহত শিশুর পিতা আনোয়ারুল হক জানান, মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে বন্ধুর সাথে খেলতে বের হয় তার ছেলে আহাদ। এক পর্যায়ে দুইজন অজ্ঞাত ব্যক্তি চকলেটের লোভ দেখিয়ে আহাদ ও তার বন্ধুকে টেনে গাড়ীতে তুলতে চাইলে আহাদের বন্ধু দৌড়ে পালিয়ে যায়। তবে পালাতে পারেনি আহাদ।
আনোয়ারুল হক বলেন, সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে এলাকায় খোঁজ লাগানো হয়। জানানো হয় পুলিশকে।
পুলিশকে জানানোর প্রায় দেড় ঘন্টা পর রাত ১ টার দিকে আহাদের মরদেহ পাওয়া যায় শহরের কলাতলীর ডিসি পাহাড় এলাকার নিজ বাড়ির পাশেই একটি খালি প্লটের ভেতর।
প্রতিবেশীরা মরদেহ দেখতে পেয়ে তাকে খবর দেন বলে জানান আনোয়ারুল হক।
নিহত শিশু আহাদের চাচা মো: হানিফ জানান, নিথর দেহটি পাওয়ার পর দ্রুত উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালে নেয়ার ৩ ঘন্টা আগেই শিশুটি মারা গেছে বলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের নিশ্চিত করেন বলে জানান মো. হানিফ।
মৃতদেহের গলায় ও মুখে আচড় এবং হাতে রক্তের দাগ ছিলো বলে জানান আহাদের চাচাতো ভাই মো: সাইফুল।
আনোয়ারুল হকের ৪ সন্তানের মধ্যে কনিষ্ঠ হলো আহাদ। আনোয়ারুল কক্সবাজার শহরের খুরুশকুল মনু পাড়ার বাসিন্দা, তিনি হিলটপ সার্কিট হাউজে কর্মরত আছেন। ২০০১ সাল থেকে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারি আবাসন প্রকল্প (ডিসি পাহাড়) বসবাস করছেন বলে জানান তিনি।