সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সাবেক নৌ পরিবহন মন্ত্রী ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতিকে প্রধান করে এবং পরিবহন ব্যবসায় সম্পৃক্তদের সংখ্যাগরিষ্ঠতায় কমিটি গঠনের প্রতিবাদ জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে বিতর্কিত ও পক্ষপাতদুষ্ট ব্যক্তিবর্গ, বিশেষ করে পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতৃস্থানীয়দের একচ্ছত্র প্রাধান্য থাকায় স্বার্থের দ্বন্দ্বের কারণে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে এই কমিটি গঠন প্রশ্নবিদ্ধ।
তাই খ্যাতিসম্পন্ন ও সংশ্লিষ্ট খাতে বিশেষজ্ঞকে প্রধান করে স্বার্থের দ্বন্দ্ব মুক্ত ব্যক্তিদের নিয়ে কমিটি পুনর্গঠনের আহ্বান জানিয়েছে টিআইবি। প্রয়োজনে শ্রমিক ও মালিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে কমিটির বাইরে থেকে প্রদত্ত সুপারিশ কমিটি বিবেচনায় নিতে পারে বলেও মত দিয়েছে টিআইবি।
বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনায় জান-মালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি রোধে কোনো কার্যকর উদ্যোগই যখন দেখা যাচ্ছে না, তখন যেভাবে কমিটি গঠিত হলো তা সরকারের সদিচ্ছাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।’
‘কমিটির প্রধান হিসেবে ইতোপূর্বে বিতর্কিত ভূমিকা রাখা, পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ ও পরিবহন মালিক-শ্রমিক পক্ষের প্রভাবশালীজনকে কমিটিতে নিয়োগ দেওয়ায় এ কমিটি নিরপেক্ষ ও স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে- এমন আশা করা অসম্ভব।’
তিনি বলেন, ‘গত বছর সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় তৎকালীন নৌ পরিবহন মন্ত্রীর বিতর্কিত ভূমিকা ও প্রশ্নবিদ্ধ আচরণ ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছে এবং এর প্রেক্ষিতে দেশব্যাপী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরও শ্রমিকদের দাবির পক্ষে তার ও কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত একাধিক সদস্যের প্রত্যক্ষ অবস্থান তাদের নিরপেক্ষতা ও দুর্ঘটনা কার্যকর নিয়ন্ত্রণের স্বদিচ্ছাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
‘আমরা দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই, প্রধানমন্ত্রী সবক্ষেত্রে সুশাসন ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠার যে ঘোষণা দিয়েছেন, এই কমিটি গঠন তার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।’