‘হ্যাকিং শক্তিশালী, প্যারালাল গ্রুপ তৈরি করেও প্রতিরোধ কষ্টকর’

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2025-01-15 13:22:51

সারা বিশ্বে হ্যাকিং এত শক্তিশালী যে প্যারালাল আরেকটি গ্রুপ তৈরি করেও তাদেরকে প্রতিরোধ করাটা কষ্টকর হচ্ছে বলে বলে জানিয়েছেন ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) রাজধানীর খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে প্রাক-সাইবার ড্রিল সম্মেলন ২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত 'সাইবার নিরাপত্তা দৃষ্টিভঙ্গি অর্জনে সহযোগিতা বৃদ্ধি' শীর্ষক এক সেমিনারে এসব কথা জানান তিনি।

হায়দার চৌধুরী বলেন, আমরা সাইবার স্পেস নিয়ে অনেক কথা বলি। এই সাইবার স্পেস কিন্তু অনেক ওয়াইড (বিস্তর) এরিয়া। যার কোন নির্দিষ্ট সীমানা নাই। এজন্য সিকিউরিটি নিয়ে আমরা এত কনসার্ন। সারা বিশ্বে যত ইন্সিডেন্ট ঘটে তার মধ্যে সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক ইন্সিডেন্টগুলো সবচেয়ে ট্যাসি এবং ক্যাসি। এমআইটি সর্বপ্রথম সিটিএসএস পদ্ধতিতে অথেন্টিকেশন শুরু করে। এটা ছিল সিম্পল পাসওয়ার্ড। সে সময় আমাদের দেশে সুপার কম্পিউটারের কথাও চিন্তা করতে পারতাম না। ওই সময় থেকে অনওয়ার্ড ডেভেলপমেন্ট গুলো হয়েছে।

আপনারা জানেন আইসিটি ডেভেলপমেন্টগুলো কিন্তু জিওমেট্রিক। এখানে ডেভেলপমেন্টগুলো এতো র‍্যাপিড (দ্রুত) যে দুজন মানুষ যখন রাস্তায় হাঁটে তখন একজন মানুষকে দ্রুতগামী হয় তাহলে আরেকজনের অনুরোধে দ্রুতগামী ব্যক্তি একটু স্লো মুভ করতে পারে। এই আইসিটি ডেভেলপমেন্টে কিন্তু সেই সুযোগ নেই। যখনই সাইবারের ব্যবহার বাড়বে তখনই কিন্তু মানষের মাঝে সর্বাগ্রে ভেসে উঠতে হবে। কারণ এই জায়গাটিকে অনিরাপদ রেখে কোন কাজ করা যাবে না।

বিজিডি গভট সার্টের অওতায় যে সাইবার ড্রিলগুলো হয় সেটা সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ কাভার করে। এখানে আমাদের সিআইএগুলো আছে এবং ফাইনান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন গুলো আছে। সেগুলোর সেনসিটিভিটি অনেক হাই। এগুলোর গুরুত্ব আমরা সবাই খুব ভালোভাবে জানি এবং জানি বলেই এগুলোর ওপর গুরুত্ব দিয়ে কাজগুলো করা হয়।

সরকারের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। গভর্নমেন্ট ইন দ্যা স্টিয়ারিং। এই স্টিয়ারিংয়ে যখনি যারা বসে তখন তারা সারা দেশকে নেতৃত্ব দেয়। কিন্তু স্টিয়ারিংয়ে যারা আছে তাদের সক্ষমতার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে যদি না পাবলিক প্রাইভেট সেক্টরগুলো থেকে সাপোর্টগুলো আসে তাহলে পুরা কাজটা হয় না।

শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, আমাদের সবকিছু আছে কিন্তু একটা জায়গা শর্টেজ আছে, সেটা হচ্ছে এক্সেস অফ কো-অর্ডিনেশন। আমি সরকারি একটা এজেন্সির উদাহরণ দেই, এজেন্সি বা মন্ত্রণালয় ব্যবহার করছে। কিন্তু সেটা অন্য কেউ ব্যবহার করতে পারছে না কারণ এক্সেস অব ইন্টারঅবিলিটি। তাই এই জিনিসগুলোকে অ্যাড্রেস করাটা জরুরি। আমরা সিস্টেম বেইজ কাজ করতে চাই, পেপার লেস অফিস চাই। সবকিছু ঠিক আছে কিন্তু যদি আমরা এই জায়গাগুলোকে সিকিউর (নিরাপদ) করতে না পারি তাহলে সিস্টেম বেইজ কাজ, পেপার লেস অফিস আপনাকে স্তব্ধ করে দিতে পারে। যে কথাগুলো আগেও আমি বললাম সাইবার স্পেসের কিন্তু কোন নির্দিষ্ট টেরিটোরিয়াল বাউন্ডারি নেই। পৃথিবীর যেকোনো জায়গা থেকে সাইবার আক্রমণ করতে পারে। আপনাকে স্তব্ধ করে দিতে পারে। তাই সবকিছুর আগে সাইবার সিকিউর করতে হবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এর সহযোগী কমিটির চেয়ারম্যান রাফেল কবির, জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা সংস্থার মহাপরিচালক আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান, বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটি (বিসিএস) সহ-সভাপতি জয়নাল আবেদীন, এজিএস কোয়ালিটি অ্যাকশন লিমিটেড এর সফটওয়্যার টেস্টিং ল্যাবরেটরির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আহসান হাবিব প্রমুখ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর