‘প্রত্যেক হাসপাতালে স্বেচ্ছাসেবী তৈরি করতে হবে’

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-17 19:19:30

প্রত্যেক হাসপাতালে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তৈরি করার আহ্বান জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক আলী আহমদ খান।

তিনি বলেছেন, ‘যখন অগ্নিকাণ্ড ঘটে, তখন মানুষ প্যানিক হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আমাদের আপদকালীন পরিকল্পনা নিতে হবে। এছাড়া প্রত্যেক হাসপাতালে আপদকালীন পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে।’

বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সদর দফতরে হাসপাতাল প্রতিনিধিদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আলী আহমদ খান বলেন, ‘সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ওয়াক আপ কল ছিল। অধিকাংশ হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ড ঘটলে হাসপাতালে রোগীর স্বজনরা কিভাবে বের হবেন জানেন না। অনেক হাসপাতালের সিঁড়ির সিস্টেম ঠিক নেই, হাসপাতালে রোগী নির্গমন ব্যবস্থা একেবারে নাজুক। ফায়ার সার্ভিস প্রতিনিয়ত ঝুঁকি মনিটরিং করে আসছে এবং সে অনুযায়ী করণীয় সুপারিশ করে আসছে।’

সভায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক (অপারেশন) মেজর শাকিল আহমেদ বলেন, ‘ঢাকা মহানগরে যত্রতত্র অপরিকল্পিত হাসপাতাল নির্মাণ ও আবাসিক ভবনে হাসপাতাল পরিচালনা হচ্ছে। এসব হাসপাতালের জন্য বিশেষ স্থাপনা প্রয়োজন হয় এবং অগ্নি নিরাপত্তার বিষয়টি অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘এছাড়া অধিকাংশ হাসপাতালেই ফায়ার লগ বুক মেইনটেইন করা হয় না। ফলে কোন হাসপাতালে কি ধরনের অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা বা সক্ষমতা আছে তা জানার উপায় থাকে না।’

শাকিল আহমেদ বলেন, ‘যে কোনো অগ্নি দুর্ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত প্রথম ৩০ মিনিট লড়াইটি আপনাকেই করতে হবে। তাই অগ্নি নিরাপত্তায় টাকা খরচ কোনো ব্যয় নয়, এটি আপনার ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার জন্য একটি বড় বিনিয়োগ।’

শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের সহকারী পরিচালক উত্তম বড়ুয়া বলেন, ‘অতি কম সময়ে কোনো ধরনের প্রাণহানি ছাড়াই ওই দিনের অগ্নিকাণ্ড মোকাবেলা করা সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র অক্টোবরে মহড়া কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করার কারণে। আমাদের এই ঘটনা যে কোনো হাসপাতালের জন্য শিক্ষণীয়। অগ্নি দুর্ঘটনায় আশেপাশের হাসপাতালগুলো আমাদের যেভাবে সহায়তা করেছিল তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। ফায়ার ফাইটিং প্রশিক্ষণ থাকার কারণেই ওই দিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করা সম্ভব হয়েছে।’

মতবিনিময় সভায় মানসিক স্বাস্থ্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের দিকে স্পেশাল নজর দেওয়ার অনুরোধ জানান। শেরেবাংলা নগর এলাকাকে একটি হেলথ জোন ঘোষণা করে সেখানে অবস্থিত নয়টি হাসপাতালে যে কোনো জরুরি পরিস্থিতিতে সেবা দেওয়ার জন্য একটি ফায়ার স্টেশন করার আহ্বান জানান।

এছাড়া জরুরি পরিস্থিতিতে করণীয় বিষয়ক একটি বই সাকল হাসপাতালে দেওয়ার অনুরোধ করেন সভায় আগত হাসপাতাল প্রতিনিধিরা।

এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের নজর আছে উল্লেখ করে আলী আহমদ খান বলেন, ‘আমরা হাসপাতাল প্রিপেয়ারডনেস নামক একটি বই যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালগুলোর কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করব।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর