চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শোকাহত প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-30 09:00:03

চকবাজারের চুরিহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যুর ঘটনায় শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০১৯ উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এই শোক ও সমবেদনা জানান।

অগ্নিকাণ্ড নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রাতে খবর এলো চকবাজারে আগুন লেগেছে। সঙ্গে-সঙ্গে আমাদের ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। ৭০ জনের মতো নিহত হয়েছেন। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। চার-পাঁচজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরে গেছেন। বাকিদের অবস্থা গুরুতর।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা আহত হয়েছে তাদের তাড়াতাড়ি সুচিকিৎসার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি যারা নিহত হয়েছে আমি তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। যারা আহত তাদের যাতে দ্রুত চিকিৎসার হয়, সে ব্যবস্থা নিয়েছি।

একুশে ফেব্রুয়ারির তাৎপর্য বর্ননা করে সরকার প্রধান বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারি আমরা আমাদের মায়ের ভাষায় কথা বলার অধিকার অর্জন করেছিলাম। আর এ সংগ্রাম শুরু হয়েছিল ৪৮ সালে যখন আমাদের ভাষার অধিকার কেড়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল। আমরা বাঙালি। বাংলা আমাদের মাতৃভাষা। কিন্তু সেই বাংলায় আমাদের কথা বলতে দেয়া হবে না। বাংলা ভাষাকে কেড়ে নেওয়ার একটা চক্রান্ত শুরু হয়েছিলো। ‘

তিনি বলেন, ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান নামে একটি রাষ্ট্র হয়, যার দুটি অংশ। চারটি প্রদেশে। চারপ্রদেশে চার ধরনের ভাষা। আর উর্দুকে তারা একটা কমন ভাষা হিসেবে নিয়েছিল। আর সেই উর্দুকে তারা চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল। আমরা যারা এই ভূখণ্ডে বাস করতাম আমাদের মাতৃভাষা ছিল বাংলা। আমাদের ভাষা কেড়ে নিয়ে একটা বিজাতীয় ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত করা হয়। আর সেই চক্রান্তের বিরুদ্ধে ৪৮ সালে আন্দোলন শুরু করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সমাজ।

ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা স্মরণ করে তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, তখন আইন বিভাগের তখন ছাত্র ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি প্রথম এফএইচ হলে একটা সভা ডাকেন। যেখানে তমুদ্দুন মজলিস, ছাত্রলীগসহ আরো অনেক সংগঠন নিয়ে সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তুলেছিলেন।

সেই সময় ১১ মার্চ আন্দোলনের কর্মসূচী দেওয়া হয়। সারা বাংলাদেশেই ধর্মঘটের আহ্বান করা হয়। অত্যাচার করে যে আমাদের ভাষার অধিকার কেড়ে নেওয়ার প্রচেষ্টা চালানো হয়েছিল সেটা কিন্তু বাঙালি কখনোই মেনে নিতে পারেনি। এবং সেই আন্দোলন যাতে না চলে সেজন্যে অনেক চক্রান্ত করা হয়েছিল।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মন্ত্রী, সংসদসদস্য সহ সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

এ সম্পর্কিত আরও খবর