কোমরে গোজা 'ববিন' দেখে স্বামীকে চিনলেন স্ত্রী

ঢাকা, জাতীয়

মুজাহিদুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম | 2023-08-30 04:59:59

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে কাঁদতে কাঁদতে প্রবেশ করেন রুমা নামের ৩৭ বছর বয়সী এক মহিলা। মর্গে ঢুকেই খুঁজতে থাকেন তার স্বামী বিল্লাল হোসেনের লাশ। বিল্লাল চকবাজারের পুড়ে যাওয়া ভবনে দর্জির কাজ করতেন।

হাসপাতালের মর্গে রাখা পোড়া গলিত লাশগুলো একের পর এক দেখতে থাকেন রুমা। কিন্তু লাশগুলোর চামড়া পড়ে গেছে। সারা শরীর ঝলসে গেছে। এই অবস্থায় সব লাশের একই অবস্থা। স্বজনদের কাছেও অচেনা এই পুড়ে যাওয়া মানুষগুলো।

এরই মাঝে অনেক খোঁজাখুঁজির পর হঠাৎ আর্তচিৎকারে লুটিয়ে পড়েন রুমা। স্বামী বিল্লাল হোসেনের লাশ শনাক্ত করতে পেরেছেন বলে জানান তিনি। আগুনে পুড়ে যাওয়া বিল্লাল হোসেনের বয়স হয়েছিল ৪৫ বছর।

লাশ সনাক্ত করার পর পুলিশ রিলিজের অপেক্ষা করছেন আর ডুকরে ডুকরে কেঁদে উঠছেন রুমা। সেই কান্নায় ভারী হয়ে উঠে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গ চত্বর। সামনে তার স্বামী বিল্লাল হোসেনের লাশ। সারা শরীরের চামড়া পুড়ে যাওয়ায় ছবির সাথে মিলিয়ে চেনার কোনো উপায় নেই।

পুলিশ ভেরিফিকেশনের সময় এক পুলিশ সদস্য রুমাকে জিজ্ঞেস করেন, ‘পোড়া মরদেহগুলো থেকে আপনার স্বামীকে কিভাবে চিনেছেন?’

বিল্লাল হোসেনের স্ত্রী রুমা কান্না বিজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘চকবাজারের পুড়ে যাওয়া ভবনে আমার স্বামী দর্জির কাজ করতেন। বিল্লাল দরজা-জানালার পর্দা শেলাই করতেন। আমি ওর কোমরে চেক লুঙ্গির গিটে ববিন (সেলাইয়ের সুতা জড়ানো স্টিলের বস্তু) দেখেছি। এটা দেখেই ওর মরদেহ চিনতে পেরেছি।'

৪৫ বছর বয়সী বিল্লাল হোসেন লালবাগ থানার শহীদ নগর ৫ নং গলিতে বসবাস করতেন। তার গ্রামের বাড়ি শরিয়তপুর জেলার সৈলপাড়ার চিকন্দি। এক কন্যা সন্তানের জনক বিল্লাল হোসেন। দীর্ঘ দিন ধরে দর্জির কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর