নেতিবাচক জীবন হতাশা, অবসাদ, বেদনার কারণ: ডা. গৌতম

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম   | 2023-08-30 13:25:48

নিউটাউন (কলকাতা) থেকে: ডা. গৌতম দাশ মূলত একজন এনেস্থিসিয়ার লোক হলেও পেইন ও ব্যথার দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বিশেষজ্ঞ। কলকাতা নিউটাউন নারিকেল বাগানের 'রবীন্দ্রতীর্থ' সাংস্কৃতিক প্রাঙ্গণের পেছনে বিশেষায়িত 'দরদিয়া পেইন হসপিটাল' গড়েছেন তিনি।

ছিমছাপ হাসপাতালে বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢুকার মুখেই দেখা হলো বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদ মামুন রশীদ এবং সিপিডি'র ড. ফাহমিদার সঙ্গে। আগে থেকে বুকিং দেওয়া তিরিশ জন রোগি তিনি দেখেন সারা দিনে। উটকো ভিড়, হৈ হাঙ্গামা, দালালের কোনো বালাই নেই দরদিয়ায়।

রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দের পরম ভক্ত ডা. গৌতম পড়াশোনা করেছেন বেলুড় মঠের স্কুলে। নিষ্ঠাবান চিকিৎসা হিসাবে পরবর্তী জীবনে পেইন বা ব্যথা-বেদনা নিয়ে কাজ করছেন। চিকিৎসার পাশাপাশি পেইন বিষয়ে ডিপ্লোমা ও উচ্চশিক্ষা কোর্স পরিচালিত হয় দরদিয়া হাসপাতালে।

বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জের প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল ডা. নৌশাদ খান এখান থেকে কোর্স করে গেছেন। তার মাধ্যমে ডা. গৌতমের তথ্য পেয়ে দেখা করতেই খুশি হলেন। পরিচয় করিয়ে দিলেন বাংলাদেশের ডা. এনামুল হক মিল্টনের সঙ্গে, যিনি এখানে এক বছরের কোর্স করছেন এবং ফরিদপুরে বিশেষায়িত একটি হাসপাতাল গড়ছেন।

দরদিয়ায় নেপাল, বেঙ্গালুরু, মালয়েশিয়ার বহু চিকিৎসক পেইন বিষয়ক কোর্স করছেন। বাংলাদেশ বা পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি রোগির পাশাপাশি সর্বভারতীয় ও বিদেশি রোগির দেখা পাওয়া গেলো এখানে।

বার্তা২৪.কমকে ডা. গৌতম বলেন, 'পেইন নানা কারণে হতে পারে। আমাদের প্রধান কাজ হলো পেইনের কারণ বের করে সেটার চিকিৎসা করা।'

তিনি বলেন, ' বয়স বৃদ্ধি, আঘাত, অনিয়ন্ত্রিত জীবন, কিডনি বা লিভারের রোগ কিংবা ক্যান্সারের জন্য মানব শরীরে পেইন হয়। সঠিক কারণটি নির্ণয় করে পেইন ম্যানেজমেন্ট করাই আমাদের লক্ষ্য।'

বার্তা২৪.কমকে ডা. গৌতম বলেন, 'একজন রোগিকে সামগ্রিকভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পেইনের চিকিৎসা করে তার মূল সমস্যাটিকে ধরে আগানো উচিত। মূল শারীরিক সমস্যা প্রশমিত হলে বেদনা এমনিতেই হ্রাস পাবে।'

ডা. গৌতম দাশ মনে করেন, 'ইতিবাচক ও কর্মক্ষম জীবন-যাপন বেদনা বা ইত্যাকার শারীরিক অসুবিধা বহুলাংশে কমাতে সক্ষম। নেতিবাচক, অলস ও কর্মবিমুখ জীবন শুধু মানসিক হতাশারই সৃষ্টি করে না, শরীরে অবসাদ ও বেদনার বাসা তৈরি করে।'

স্বাভাবিক জীবনের জন্য তিনি গতিশীলতার মাধ্যমে হেলদি লাইফ লিড করার এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্য এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন। কলকাতার পাশেই টাটা ন্যানো প্রজেক্টের কারণে উতপ্ত সিঙ্গুর এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ডা. গৌতম দাশ বহু বার বাংলাদেশে এসেছেন। বাংলাদেশে তার বহু ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। বাংলাদেশের স্মৃতিতে একুশে ফেব্রুয়ারির পুষ্পিত ঢাকা মহানগরী আর কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত এখনো তাকে দোলা দেয়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর