সিসিমপুর যেন শিশুদের আনন্দস্বর্গ

ঢাকা, জাতীয়

ঊর্মি মাহবুব, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট,  বার্তা২৪.কম | 2023-08-31 11:00:37

ইট-পাথরের এই নগরে বাচ্চাদের খোলামেলা খেলার জায়গার বড় অভাব। আর যদি এমন জায়গার খোঁজ পায়, এ সুযোগ হাতছাড়া করতে চান না শিশু ও তাদের অভিভাবকরা। বইমেলায় এমনই এক ঠিকানা শিশু চত্বরের সিসিমপুর।

আর মাত্র কয়েক দিন পরই শেষ হতে চলেছে বাঙালির প্রাণের মেলা বইমেলা। তাই যেন ক্ষুদে পাঠকরা ছুটছে সিসিমপুরের দিকে।

শুক্রবার সকাল এগারটায় বইমেলা প্রাঙ্গণের দ্বার খুলতেই শিশুদের ছুটতে দেখা যায় সিসিমপুরের দিকে। ইকরি, হালুম আরো কতো কিছুই না ডাকছে তাদের। চলো যাই সিসিমপুর… গানের তালে নাচ, ইকরি, হালুমের সঙ্গে দুষ্টুমি- শিশু প্রহরের এই সময়টাতে যেন ব্যস্ত তারা। বদ্ধ ঘর ছেড়ে সিসিমপুর যেন তাদের কাছে আনন্দস্বর্গ।  

অভিভাবকরাও ছুটির দিনে সময় পেয়ে সন্তানদের সাথে এসেছেন সিসিমপুরে। নানা রঙের জামা পড়ে,  কেউবা মাথায় ফুল পড়ে সিসিমপুরের মঞ্চে বন্ধুদের সাথে খেলা করছে। শিশুদের কলকাকলিতে মুখর হয়ে উঠেছে বই মেলার শিশু চত্বর।

পূর্বের পরিচত না হলেও সিসিমপুরে বন্ধুত্ব হয়ে গিয়েছে একে অন্যের সাথে। যেমনটা হয়েছে অর্থি আর রাদিয়ার। সাত বছরের অর্থিকে সকালে ঘুম থেকে উঠানো যেখানে দায় সেখানে আজ নিজেই ভোরে উঠে বাবা-মাকে জাগিয়েছে অর্থি।

মা আমরিন বলেন, গতকয়েক দিন ধরেই সিসিমপুরে বাচ্চাদের ছবি দেখছি ফেসবুকে। বারবার জোর করছিলো নিয়ে আসার জন্য। কিন্তু অফিসের কারণে আসতে পারছিলাম না। আজ শুক্রবার হওয়ায় নিয়ে আসলাম। রাত বারবার বলছিলো চলো চলো সিসিমপুরে যাই।

আর খেলতে খেলতে অর্থি বলে, সিসিমপুর খুব সুন্দর। আমার এখানে বন্ধুও হয়েছে। আমরা আজ সারাদিন খেলবো।

অন্যদিকে বাচ্চাদের খুশির জন্য অভিভাবকরাও ভিড় করছেন শিশু চত্বরের সিসিমপুরে।

ব্যাংক কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, আসলে একটা সময় আসে যখন সন্তানদের ভালো লাগা মন্দ লাগাই বাবা-মায়ের খুশি হয়ে দাঁড়ায়। মেলায় ঢুকেই সিসিমপুরে এসেছি। যতক্ষণ বাচ্চা থাকতে চায় থাকবো।

পহেলা ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছে বইমেলা। পুরো ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে চলবে মেলা। ছুটির দিনে সকাল এগারটা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত মেলায় থাকতে পারবেন দর্শনার্থীরা।

এ সম্পর্কিত আরও খবর