ওয়াহিদ ম্যানশনের বেজমেন্টে কেমিক্যালের সন্ধান

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-24 11:08:17

রাজধানীর পুরান ঢাকার চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া ওয়াহিদ ম্যানশনের বেজমেন্টে প্রচুর পরিমাণ কেমিক্যালের সন্ধান পাওয়া গেছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা বলছেন, আগুন যদি কোনোভাবে এই মজুদকৃত কেমিক্যালের সংস্পর্শে যেত, তবে সেটি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতো।

শুক্রবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে ওয়াহিদ ম্যানশনের এই মজুদকৃত কেমিক্যালের সন্ধান পায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। প্রাথমিকভাবে তারা ধারণা করছেন, মজুদকৃত কেমিক্যালগুলো বিস্ফোরণযোগ্য হতে পারে।

গত বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাতে চকবাজারের এই অগ্নিকাণ্ডে তিনটি ভবন পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে ৭০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুড়ে যাওয়া ভবনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই ওয়াহিদ ম্যানশন। ফায়ার সার্ভিসের কর্তারা বলছেন, ওয়াহিদ ম্যানশনে রাখা কেমিক্যালের কারণেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং ভয়াবহ আকার ধারণ করে।

সন্ধান পাওয়া কেমিক্যাল সম্পর্কে ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক শরিফ বলেন, ‘ওয়াহিদ ম্যানশনের বেজমেন্টে প্রচুর কেমিক্যাল মজুদ ছিল এবং সেগুলো এখনো অক্ষত অবস্থায় আছে। সেগুলো কতটুকু বিস্ফোরণযোগ্য সেটি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, মজুদকৃত কেমিক্যালগুলো যদি বিস্ফোরণযোগ্য হতো, আর সেগুলো যদি আগুনের সংস্পর্শে আসতো তাহলে অগ্নিকাণ্ড আরও ভয়াবহ হতো। তখন ফায়ার সার্ভিসের পক্ষে তা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে যেত।’

হাজী ওয়াহিদ ম্যানশন ভবনের মালিক মোঃ শাহীন বলেন, ‘বেজমেন্টে গোডাউনগুলোতে যে কেমিক্যাল বা অন্য বিস্ফোরক রাখা হতো আমরা জানতাম না। জানলে আমরা ভাড়া দিতাম না। আসলে বিস্ফোরক তো নয় বিভিন্ন প্রকার পারফিউম ও সেন্টের বোতল রাখা হত। কিন্তু এই বোতলগুলো আগুনের সংস্পর্শে এসে বন্দুকের গুলির মতো ছুটে ছুটে গিয়ে এতটা ভয়াবহ পরিস্থিতি হবে ভাবতে পারিনি। আমরা বাড়ি ভাড়া দিতে না চাইলেও ব্যবসায়ীদের চাপে বিভিন্ন সময়ে বাধ্য হয়েই কোম্পানিগুলোকে বাড়ি ভাড়া দিতে হয়।’

 

আরও পড়ুন: 

অগ্নিকাণ্ডস্থলে কেমিক্যালের অস্তিত্ব নেই: শিল্পমন্ত্রী

এ সম্পর্কিত আরও খবর