আইনজীবী রথীশ হত্যা : দীপার স্বীকারোক্তি, কামরুল রিমান্ডে

, জাতীয়

সেন্ট্রাল ডেস্ক ২ | 2023-08-26 12:58:27

রংপুরে আলোচিত বিশেষ জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) রথীশ চন্দ্র ভৌমিক বাবু সোনা হত্যা মামলায় স্ত্রী সিগ্ধা সরকার দীপাসহ তিনজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এছাড়া ওই মামলায় দীপার প্রেমিক কামরুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের আবেদন করা ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। নবন্দি দেওয়া অন্য দুইজন হলো- তাজহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাজহাট মোল্লাপাড়া এলাকার সবুজ এবং রোকনুজ্জামান রোকন। বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৯টায় অতিরিক্ত  মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে দীপাসহ অন্য আসামিদের হাজির করে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কামরুলের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার এসআই আল-আমিন। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক আরিফা ইয়াসমিন মুক্তা তার ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। অপরদিকে রাত দেড়টা পর্যন্ত নিহতের স্ত্রী স্নিগ্ধা সরকার দীপাসহ কামরুলের দুই সহযোগী সবুজ ও রোকনের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ করেন বিচারক। একই দিন বিকেলে এই মামলার আরও এক আসামি নিহত বাবু সোনার ব্যক্তিগত সহকারী মিলন মোহন্তকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি থানার ওসি বাবুল মিঞা। বাবু সোনা হত্যাকাণ্ড মামলায় এ পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আল-আমিন জানান, বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৯টার দিকে পিপি রথীশ চন্দ্র ভৌমিক খুনের ঘটনায় কামরুল ইসলাম ও তার দুই সহযোগীসহ দীপাকে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে কামরুলের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন জানানো হলে বিচারক ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এদিকে কামরুল ইসলামকে আদালত থেকে বের করে নিয়ে আসার সময় খুনিদের ফাঁসির দাবিতে আদালত চত্বরে বিক্ষোভ করেন নিহত পিপি বাবু সোনার ভক্তরা। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার গভীর রাতে নগরীর তাজহাট মোল্লাপাড়া এলাকার একটি নির্মাণাধীন বাড়ির ঘরের মেঝে খুঁড়ে বাবু সোনার মরদেহ উদ্ধার করে র্যাব। পরে বুধবার দুপুরে র্যাবের মহাপরিচালক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দীপা জানিয়েছেন পরকীয়া প্রেম, পারিবারিক কলহ, সন্দেহ ও অশান্তি থেকেই স্বামী বাবু সোনাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন তিনি। হত্যার পরিকল্পনা করা হয় দুই মাস আগে থেকে। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার রাতে ভাত ও দুধের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ানোর পর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে বাবু সোনাকে হত্যা করেন তিনি ও তার সহকর্মী তাজহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ২৬ মার্চ শিক্ষক কামরুল ইসলামের নির্দেশে ৩০০ টাকার বিনিময়ে তাজহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী মোল্লাপাড়ার রবিউল ইসলামের ছেলে সবুজ ইসলাম ও রফিকুল ইসলামের ছেলে রোকনুজ্জামান গর্ত খুঁড়ে রাখেন। পরে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কামরুলের নির্দেশে গর্তের আংশিক ভরাট কাজে তাকে সহায়তা করে ওই দুই শিক্ষার্থী।

এ সম্পর্কিত আরও খবর