বন্ধুর রান্নাঘরের মেঝে খুঁড়ে যুবকের লাশ, দম্পতি আটক

, জাতীয়

সেন্ট্রাল ডেস্ক ২ | 2023-08-22 19:11:22

পুরে নিখোঁজ হওয়ার ২৭ দিন পর প্রতিবেশীর রান্না ঘরের মাটির নিচ থেকে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার দুপুরে জেলার কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছ পৌরসভার হক বাজার মালিয়াটারি এলাকার ফরিদ হোসেনের (৩৭) রান্না ঘরের মেঝে খুঁড়ে সিরাজুল ইসলামের (৩৫) গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ ফরিদ ও তার স্ত্রী মিনি বেগম মিষ্টিকে আটক করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফরিদ হত্যাকা-ের কথা স্বীকার করেছেন। সিরাজুল ও ফরিদের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন অর রশিদ লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলাদেশের খবরকে বলেন, পাওনা টাকা ফেরত চাইতে গিয়ে ফরিদের হাতে নির্মমভাবে খুন হয়েছেন সিরাজুল। শুধু তাই নয়, তাকে পরিকল্পিত এবং নির্দয়ভাবে হত্যা করে লাশ রান্না ঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখে ফরিদ-মিষ্টি দম্পতি। তিনি জানান, নিহত সিরাজুল ও ঘাতক ফরিদ একে অপরের বন্ধু ছিলেন। তাদের বাড়িও পাশাপাশি। বন্ধুত্বের খাতিরে ফরিদকে ৭০ হাজার টাকা ধার দেন সিরাজুল। ওই টাকা ফেরত চাইতে গিয়েই তিনি খুন হয়েছেন। ওসি আরও জানান, গত ১৭ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাজার করতে বের হন সিরাজুল। এরপর আর বাড়ি ফিরে আসেননি তিনি। পরে ফরিদ নিখোঁজ হওয়া ব্যাপারে কাউনিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে তার পরিবার। জিডির সূত্র ধরে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে কাউনিয়া থানা পুলিশ অনুসন্ধান চালায়। অনুসন্ধানে গত শুক্রবার রাতে ঘাতক ফরিদকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এ সময় ফরিদ হত্যাকা- ঘটানোর কথা স্বীকার করেন এবং এ ঘটনায় তার স্ত্রীও জড়িত বলে জানান। ওই রাতে মিনি বেগম মিষ্টিকে (২৫) গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের দু’জনের দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী গতকাল দুপুর আড়াইটার দিকে নিখোঁজ সিরাজুলের লাশ ফরিদের রান্না ঘরের মাটির নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়। নিহতের বড় ভাই শেরেকুল ইসলাম বলেন, তার ছোট ভাইয়ের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় ফরিদ টাকা ধার নিত আবার দিতও। কিন্তু কিছুদিন আগে ফরিদ সিরাজুলের কাছে ৭০ হাজার টাকা ধার নিলে পরে তা দিতে অস্বীকার করে। এ ঘটনাটি আমাকেসহ আরো কয়েকজনকে জানায় সিরাজুল। আমরা ফরিদকে টাকা ফেরত দিতে বললে  সে হুমকি দিয়ে বলতো, পারলে যেন তারা টাকা তুলে নেয়। ওই ঘটনার পর থেকেই সে বার বার সিরাজুলকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল। সিরাজুলের আরেক বড় ভাই মজিবর রহমান বলেন, ‘আমার ভাই নির্দোষ। তবে এই খুনের সঙ্গে জড়িত বিচার চাই।’ সিরাজুল হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ওসি মামুন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর