রাজশাহীর চারঘাটে চেক জালিয়াতির মামলায় দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি এক স্কুল শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে উপজেলার নিমপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার মো. ইমদাদুল হক নিমপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তিনি একই গ্রামের মো. আতাহার আলীর ছেলে। রোববার সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, চারঘাট উপজেলার বাসুপাড়া গ্রামের শ্রী অঙ্গজিত কুমার প্রামানিকের মেয়ে জামাই শ্রী অমর কুমার ও একই উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম ওরফে মাহাবুর রহমানের স্ত্রী লিলি খাতুনকে চাকুরির দেওয়ার নাম করে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নেন। চাকরি প্রার্থীদের ভুয়া নিয়োগপত্র প্রদান করেন প্রধান শিক্ষক ইমদাদুল হক।
পরে প্রার্থীদের নিয়োগপত্র ভুয়া প্রমান হলে তাদের কাছ থেকে নেওয়া টাকা ফেরত চাওয়া হয়। তখন প্রধান শিক্ষক ইমদাদুল সোনালী ব্যাংক চারঘাট শাখার অনুকুলে শ্রী অঙ্গজিত কুমারকে ১০ লাখ টাকা ও রফিকুলকে ১২ লাখ টাকার চেক প্রদান করেন। চেক প্রদানের পরেও শিক্ষক ইমদাদুল হকের একাউন্টে কোনো টাকা জমা না হওয়ায় চেক দুটি ডিজঅনার হয়।
পরে অঙ্গজিত ও রফিকুল বাদী হয়ে বিজ্ঞ আদালতে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। এরপর ২০১৮ সালের অক্টোবরে আদালত অঙ্গজিতের মামলায় ২০ লাখ টাকা জরিমানা ও এক বছরের সাজাভোগ এবং রফিকুল ইসলামের মামলায় ১৩ লাখ টাকা জরিমানা ও ১ বছরের সাজা ভোগের আদেশ দেন।
চারঘাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, আটক স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে একটি মামলায় ২০ লাখ টাকা জরিমানা ও ১ বছরের সাজা এবং অপর একটি মামলায় ১৩ লাখ টাকা জরিমানা ও ১ বছরের সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্ট রয়েছে।
দু’টি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান ওসি।