চট্টগ্রামে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজ ছিনতাই চেষ্টার ঘটনায় থানায় এখনো কোন মামলা হয় নি। তবে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে বার্তা২৪.কম-কে জানান সহকারী কমিশনার জাহেদুল ইসলাম।
সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে পতেঙ্গা থানায় সাংবাদিকরা ভিড় করছে। এর আগে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীর নির্দেশে রাতে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
এদিকে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট লিপিবদ্ধ করেছেন চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থানা। রাতে লাশ ওসি উৎপল বড়ুয়া লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেন।
উৎপল বড়ুয়া বার্তা২৪.কম-কে বলেন, 'লাশের যাবতীয় তদন্ত রিপোর্ট সংগ্রহ করা হয়েছে। বিকাল পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি।'
রোববার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিমান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোকাব্বির হোসেনকে প্রধান করে পাঁচ সদস্য কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- বিমান মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব জনেন্দ্রনাথ সরকার, সিভিল এভিয়েশনের পরিচালক (ফ্লাইট সেফটি) উইং কমান্ডার জিয়া, সিকিউরিটি কনসালটেন্ট গ্রুপ ক্যাপ্টেন (অব.) আলমগীর এবং বিমানের পরিচালক (প্লানিং) এয়ার কমোডোর (অব.) মাহবুব জাহান খান। তবে কবে নাগাদ তদন্ত প্রতিবেদন দিতে হবে তা সুনির্দিষ্ট করে বলা হয়নি।
রোববার ঢাকা থেকে দুবাইগামী বিমানের বোয়িং-৭৩৭ ৮০০ উড়োজাহাজটি উড্ডয়নের কিছু পর ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে। পরবর্তীতে উড়োজাহাজটি চট্টগ্রামে নিরাপদে অবতরণ করে।
এরপর ছিনতাইকারীর নিহত হওয়ার মধ্য দিয়ে রুদ্ধশ্বাস এই অভিযান শেষ হয়। ফ্লাইটটিতে ১৩৪ জন যাত্রী ও ১৪ জন ক্রু ছিলন। এদিকে চমেক হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে ওই ছিনতাইকারীর লাশ।