ছাত্রলীগের সংঘর্ষের জেরে পাবনা মেডিকেল বন্ধ

, জাতীয়

সেন্ট্রাল ডেস্ক ২ | 2023-08-30 08:29:20

ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে দু’দিনে দুইদফা সংঘর্ষে পাবনা মেডিকেল কলেজে (পামেক) অনির্দিষ্টকালের জন্য কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে । আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এ সংঘর্ষ হয়। এ তথ্য সাধারণ শিক্ষার্থীদের। বিবধমান দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ১০ শিক্ষার্থী । একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে যাদের পরীক্ষা রয়েছে তাদের প্রবেশপ্রত্র দেখিয়ে হলে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পুলিশ ও কলেজ সূত্র জানায়, আধিপত্য বিস্তার ও নতুন শিক্ষার্থীদের বরণ করা নিয়ে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত। তবে এ বিষয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভাষ্য ভিন্ন। তারা জানান, ক্লাব ও সমিতির নামে ছাত্রনেতারা বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানি থেকে চাঁদা নিয়ে অনুষ্ঠানের নামে ভাগবাটোয়ারা করেন। চাঁদার ভাগাভাগি নিয়েই দুই পক্ষে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। পাবনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. রিয়াজুল হক রেজা জানান, আধিপত্য বিস্তার ও কলেজে ভর্তি নতুন শিক্ষার্থীদের বরণ করা নিয়ে পাবনা মেডিক্যাল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহফুজ নয়ন ও সাধারণ সম্পাদক অদ্বিতীয় দে গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার রাত একটার দিকে দুই গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। গতকাল শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে আবারো দুই গ্রুপের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে মীম, হাসান, জয়দেবসহ উভয় গ্রুপের অন্তত ১০ জন আহত হন। আহতদের পাবনা জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন বে-সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অধ্যক্ষ জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শুক্রবার সকালে অনির্দিষ্টকালের জন্য কলেজ বন্ধ ঘোষণা করে দুপুর ২টার মধ্যে ছাত্রদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো জানান, মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আবু মো শাফিকুল হাসানকে প্রধান করে তিন সদস্যের এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তবে কমিটি কবে নাগাদ প্রতিবেদন দেবে সে বিষয়ে কিছু বলেননি তিনি। পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। তবে কোনো পক্ষই তার কাছে কোনো অভিযোগ করেননি। পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন। তিনি জানান, ক্যাম্পাসসহ হাসপাতাল চত্বরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। এদিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পামেকের কয়েকজন সাধারণ শিক্ষার্থী জানান, সভাপতি নয়ন নিয়ন্ত্রণ করেন মেডিসিন ক্লাব। আর সাধারণ সম্পাদক অদ্বিতীয় দে নিয়ন্ত্রণ করেন রোটারি ক্লাব। নতুন শিক্ষার্থীদের বরণ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে রাত থেকে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। তবে নয়ন ও অদ্বিতীয় ক্লাব নিয়ন্ত্রণ বা চাঁদা নেওয়ার কথা অস্বীকার করে একে অপরের ওপর সংঘর্ষের দায় চাপিয়েছেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর