রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে মাদকসেবীদের হামলায় আহত আদিবাসী যুবক বাহাদুর কোলের হাতে পচন ধরেছে। পচে পচে ক্রমে সেই হাত থেকে মাংসও খসে পড়ছে। কিন্তু টাকার অভাবে তিনি চিকিৎসা করাতে পারছেন না।
স্থানীয়রা জানায়, গত ২০ জানুয়ারি সন্ধা ৭টার দিকে উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের চিকনা গ্রামে দেবতী কোলের বাড়ির পাশে মাদকের আসর বসায় ছয়জন বখাটে যুবক।
এ সময় দেবতী কোল -এর ছেলে বাহাদুর কোল (২৫) এর প্রতিবাদ করলে মাদকসেবীরা তার উপর হামলা চালায়। এতে বাহাদুর কোল এর ডান হাতটি ভেঙে যায়।
পরে স্থানীয় কবিরাজের কাছে চিকিৎসা নেন তিনি। কিন্তু কোনোভাবেই সুস্থ হতে পারেন নি। প্রথমে ডান হাত প্রথমে ফুলে যায়। এরপর পচন ধরে মাংস ঝরে পড়ছে।
এমন অবস্থায় বাহাদুর কোল এর উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। কিন্তু অর্থের অভাবে বাহাদুর চিকিৎসা করাতে পারছে না। বর্তমানে স্থানীয় কবিরাজের দেওয়া পথ্য মতে ঔষধ গ্রহণ করছেন তিনি।
বাহদুরের মা সঞ্চমূণী কোল বলেন, মাদকসেবীরা প্রায়ই আমাদের এখানে এসে প্রচন্ড অতিষ্ঠ করে। পুলিশকে বললেও তারা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে না। ঘটনার দিন কয়েকজন মদ-গাঁজা খেয়ে মাতলামি করছিল। তাদের মাতলামির মাত্রা বেড়ে গেলে তাদের সেখান থেকে চলে যেতে বলেছিল আমার ছেলে। পরে মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে বাহাদুরকে লাঠি দিয়ে খুব মারধর করে। এতে হাত থেতলে যায়। এরপর থেকে এই অবস্থা।’
বাহাদুর কোল এখন পঙ্গু। তার হাতের এমন অবস্থার কারণে দিনমজুরের কাজও করতে পারছে না। দুই ছেলে স্ত্রী, মা-বাবাসহ ছয় সদস্যর সংসার পড়েছে চরম অনটনে।
জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সহ-সাধারণ সম্পাদক গণেশ মার্ডি বলেন, বাহাদুর কোলের উপর হামলাকারীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হয়নি এখনো। এটা দুঃখজনক। তাকে বাঁচাতে উন্নত চিকিৎসার জন্যও সাহায্য প্রয়োজন।
গোদাগাড়ী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বাহাদুর কোল এর উপর হামলার ঘটনা পুলিশের জানা নেই। তবে অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।