রাজশাহী নগরীকে অত্যাধুনিক করে গড়ে তুলতে উন্নয়ন মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করছে সিটি করপোরেশন। এই মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী গৃহীত দীর্ঘমেয়াদী সকল উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে চীনের কোম্পানি ‘চায়না পাওয়ার’।
বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের সঙ্গে কোম্পানির একটি প্রতিনিধি দল বৈঠক করে। নগর ভবনের মিনি কনফারেন্স কক্ষে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে চীনা কোম্পানির ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন কোম্পানির বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার মি. হান কুন।
সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক জানান, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে রাসিক, অন্যান্য সহযোগী সংস্থা এবং পাওয়ার চায়নার সমন্বয়ে কমিটি গঠন করা হবে। তাদের আলোচনার মাধ্যমে গৃহীত চুক্তি ‘এমওইউ’ স্বাক্ষরিত হবে।
মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী, পদ্মা নদীর ধারে শহররক্ষা বাঁধ নির্মাণ করে সেখানে বিনোদন কেন্দ্রসহ বিভিন্ন স্থাপনা তৈরি করা হবে। এছাড়া, নগরীতে জেনারেল এবং স্পেশালাইজ হাসপাতাল গড়ে তোলা হবে।
নগরীর হযরত শাহ্ মখদুম বিমানবন্দর সম্প্রসারণ এবং অবকাঠামো উন্নয়ন এবং টেকনিক্যাল সুবিধাও বাড়ানো হবে। ড্রেনেজ ব্যবস্থা এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনারও উন্নয়ন করা হবে।
এছাড়া, নগরীর পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হবে। এর মধ্যে রয়েছে- গণপরিবহণ, রাস্তা, রাস্তার আলোকায়ন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এবং মেট্রোরেল ও ফ্লাইওভার নির্মাণ।
এ বিষয়ে সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, গত ২৩ জানুয়ারি বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ঝ্যাং জ্যুয়ো রাজশাহীতে এসে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় রাষ্ট্রদূত চীনের বৃহত্তর একটি কোম্পানি ‘চায়না পাওয়ার’ -এর প্রতিনিধি দলকে রাজশাহীতে পাঠান।
মেয়র জানান, গত ৩১ জানুয়ারি কোম্পানির প্রতিনিধিদের সঙ্গে সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলরসহ কর্মকর্তারা প্রথম বৈঠক করেন। সে সময় রাজশাহীর উন্নয়নে অনেকগুলো প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তারাও মাস্টারপ্ল্যানের মাধ্যমে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, যে মাস্টারপ্ল্যান তৈরির কাজ শুরু হয়েছে, তা বাস্তবায়ন হলে পুরো রাজশাহীর ইতিবাচকভাবে আমূল পরিবর্তন হবে। মাস্টারপ্ল্যানের পাশাপাশি আরও অনেক উন্নয়ন প্রজেক্টও বাস্তবায়ন হবে। রাজশাহীবাসীকে যে স্বপ্ন দেখিয়েছিলাম, সেটাও বাস্তবায়িত হবে।