নিমতলীর ঘটনা অবহেলা করার কারণেই চকবাজারের দুর্ঘটনা

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-27 17:56:49

চকবাজারের যে দুর্ঘটনা ঘটেছে তা নিমতলীর ঘটনার অবহেলার কারণেই। যদি সেই সময়ে গৃহীত ১৭ দফা বাস্তবায়িত হতো তাহলে আজ চুড়িহাট্টায় কোন প্রাণহানির ঘটনা ঘটত না। এমনভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে আরো প্রাণহানি ঘটবে।

শুক্রবার (১মার্চ) সকালে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত এক নাগরিক সমাবেশে এ সব কথা বলেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল হাবিব।

লিখিত বক্তব্যে ইকবাল হাবিব বলেন, ২০১০ সালে নিমতলী ঘটনার পর থেকে বাপাসহ পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো জন আন্দোলন তৈরি করেছিল। আমরা সুস্পষ্টভাবে সরকারকে জানিয়ে দিয়েছিলাম, শুধুমাত্র পুরান ঢাকা নয়, ঢাকার সকল অঞ্চল, বসতবাটি থেকে সব ধরনের দাহ্য ও তেজস্ক্রিয় পদার্থসহ বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্যের মজুদ, পরিবহন ও ব্যবহার সুনির্দিষ্টভাবে অপসারণ করে, একটি দূর্যোগ মুক্ত নগরী তৈরি করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। সেই লক্ষে ১৭ দফার সুপারিশ গৃহীত হয়েছিল।

কিন্তু বিগত নয় বছর ধরে এ বিষয়সমূহের ব্যাপারে চরম অবজ্ঞা, অবহেলা, নিস্ক্রিয়তা পুরো জনপদটিকে ভয়াবহ দুর্যোগের দিকে ঠেলে দিয়েছে। অথচ সেই ১৭ দফাতে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ ছিল, আবাসিক এলাকা থেকে সব ধরনের রাসায়নিক পদার্থ অপসারণ করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, সেই সময়ে গৃহীত ১৭ দফা রাজনৈতিক লবিংসহ নানা কারণে এখন পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয় নাই। এর ফলে পুরান ঢাকা এক মৃত্যুপুরিতে পরিণত হয়েছে।

বাপার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন বলেন, বর্তমানে পুরান ঢাকার নাগরিকরা বোমার ভেতরে বসবাস করছে। এইটার অবসান ঘটাতে হবে। এখন আমরা জানি সরকার পুরান ঢাকা থেকে সকল প্রকার কেমিক্যাল গোডাউন অপসারণে লক্ষে কাজ করছে। এতে আমাদের পূর্ণ সমর্থন দিতে হবে। আমরা যদি এখন চুপ করে থাকি তাহলে কি হবে তা আমরা নিমতলীতে দেখেছি। এখন আস্তে আস্তে রাজনৈতিক লবিং শুরু হবে এবং এই প্রচেষ্টাকে বন্ধ করে দেয়ার জন্য একটি মহল উঠেপড়ে লাগবে । তাই আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জনাচ্ছি যে আপনি যে উদ্যোগ নিয়েছেন তা বাস্তবায়ন করবেন।

নাগরিক সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপার জয়েন্ট সেক্রেটারি মিহির বিশ্বাসসহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর