ইউনাইটেড হাসপাতালের এমডির বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলা

, জাতীয়

সেন্ট্রাল ডেস্ক ২ | 2023-08-24 12:10:52

গৃহ কর ফাঁকি ও আত্মসাতের অভিযোগে ইউনাইটেড হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রহমান খান এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার রহিমা বেগমের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বৃহস্পতিবার সংস্থার উপ-পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুব আলম বাদী হয়ে গুলশান থানায় এ মামলা দায়ের করেন। এজাহারে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ২১ কোটি টাকা গৃহ কর ফাঁকি ও আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, ইউনাইটেড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার সময় থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত সিটি করপোরেশনের গৃহকর বাবদ ২১ কোটি ৪৪ লাখ ২৬ হাজার ৯৯৩ টাকা পরিশোধ করে ওই প্রতিষ্ঠান। আসামিরা এ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। এটি দ-বিধির ৪০৯/১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় দ-যোগ্য অপরাধ। এজাহারে আরো বলা হয়, ২০০৬ সালে রাজধানীর গুলশান-২ আবাসিক এলাকার ৭১ নম্বর রোডের ১৫ নম্বর বাড়ির বেজমেন্টসহ একটি আট তলা ভবনে ‘কন্টিনেন্টাল হাসপাতাল’ নামে কার্যক্রম শুরু হয়। ২০০৭ সালে এটির মালিকানা ও নাম বদলে ‘ইউনাইটেড হাসপাতাল লিমিটেড’ হয়। তবে ঢাকা সিটি করপোরেশনের তালিকায় এখনো আগের নামই বহাল। ঢাকা সিটি করপোরেশন (ডিসিসি) ২০০৬ সাল থেকে হাসপাতালটির ত্রৈমাসিক গৃহ কর ৮৮ লাখ ১৫ হাজার ৮৯০ টাকা নির্ধারণ করে। ২০০৭ সালের ২৬ অগাস্ট গৃহ কর পরিশোধের জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নোটিশ দেয় ডিসিসি। কিন্তু ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেই কর পরিশোধ না করে পুনর্বিবেচনার সিটি করপোরেশনের অ্যাসেসমেন্ট রিভিউ বোর্ডে (এআরবি) আবেদন করে। সে সময় চার সদস্যের ওই বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন সিটি করপোরেশন ২১ নম্বর ওয়ার্ডের তৎকালীন কমিশনার এম এ কাইয়ুম। সদস্য হিসেবে ছিলেন কমিশনার রহিমা বেগম, প্রকৌশলী কাজী জহিরুল আজম ও অ্যাভোকেট মালেক মোল্লা। জাতীয় রাজস্ববোর্ডের চেয়ারম্যান ও অপর দুইজন সদস্যের অনুপস্থিতিতে রহিমা বেগম এককভাবে ২০০৯ সালে ইউনাইটেড হাসপাতালের ত্রৈমাসিক কর কমিয়ে ৭৪ লাখ ৯৩ হাজার ৫৫০ টাকা পুনঃনির্ধারণ করেন। এতে ইউনাইটেড হাসপাতাল লিমিটেডের ত্রৈমাসিক করের পরিমাণ ১৩ লাখ ২২ হাজার ৩৪০ টাকা কমে যায়। তদুপরি ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনো কর পরিশোধ করেনি। সাবেক কমিশনার রহিমা বেগম এবং ইউনাইটেড হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রহমান খান পরস্পর যোগসাজশে বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে ঢাকা সিটি করপোরেশনকে ওই টাকা পরিশোধ না করে দ-যোগ্য অপরাধ করেছেন বলে এজারে উল্লেখ করা হয়। এজাহারে আরও বলা হয়, পরিমাণ না কমালে ২০১১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত হাসপাতালটির কাছে সিটি করপোরেশনের কর পাওনা হতো ২১ কোটি ৪৪ লাখ ২৬ হাজার ৯৯৩ টাকা।

এ সম্পর্কিত আরও খবর